দোহারে জয়পাড়া কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে মালিকান্দা কলেজের ৬ জন শিক্ষার্থীকে দন্ডকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘুলা-মালিকান্দা স্কুল এন্ড কলেজ, সুতারপাড়া আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কবি নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ৬ জন শিক্ষার্থীর জরিমানা করায় ও রচনামূলক পরীক্ষা দিতে না পারার কারনে কবি নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা, মেঘুলা বাজারস্থ জন-সাধারণ এই মানব বন্ধন আয়োজন করে। মানব বন্ধনে জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব তাপস নন্দীর অপসারন দাবী করা হয় একই সাথে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
সোমবার দোহারে এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে এনে এই ৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অর্থদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আল-আমিন নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া একজন লাইব্রেরিয়ান ও ফটোকপির দোকানী জুবায়ের মোল্লাকে (২৪) ১৫ দিনের কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। সে জয়পাড়া কলেজ গণিতের প্রভাষক মিলন হোসেনের ভাগ্নে, মিলন হোসেন এইচএসসি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য।
এই ঘটনায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে দন্ডিত হয় মালিকান্দা কলেজের ৬ শিক্ষার্থী। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলে, “তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। জয়পাড়া কলেজের অধ্যক্ষ তাপস নন্দী ব্যক্তি বিদ্বেষ ও মালিকান্দা কলেজের উপর বিদ্বেষ থেকে তাদের কেন্দ্রে এই ভাবে অপদস্থ করেছে। এবং তাদের শিক্ষা জীবনে একটি মিথ্যা কলঙ্ক আরোপন করা হয়েছে।”
কবি নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম নিউজ থার্টিনাইনকে বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে। তাদের দ্বারা এই ধরনের কাজের সাথে জড়িত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তারা ষড়যন্ত্রের শিকার।
এ বিষয়ে জয়পাড়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিউজ থার্টিনাইনকে বলেন, ”যেহেতু তাদেরকে কেন্দ্রের বাইরে থেকে ধরেছে। ইউএনও এবং এসি ল্যান্ড ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের শাস্তি দিয়েছে। এখানে আমার বলার কিছু নেই। আমার কেন্দ্রের সীমানার মধ্যে কিছু ধরা পড়লে সেক্ষেত্রে আমাকে দোষারোপ করতে পারতো। বাহিরে কোন ঘটনায় আমার বলার কিছু নেই।”