দোহারে ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

163

দোহার উপজেলার ২১নং ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষের অভাবে খুঁড়িয়ে চলছে এই বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম।

১৯৫২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৪৮ সালে বিদ্যালয়টি ইসলামাবাদ মক্তব নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির ২৭ শতাংশ জমির ওয়াক্‌ফ হিসেবে দাতা ছিলেন মৌলভি জামাল উদ্দিন খান। বর্তমানে ২১নং ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিত। এই বিদ্যালয়ে মোট জায়গা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। পাশেই ইসলামাবাদ উচ্চবিদ্যালয় নামে আরেকটি মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খালি জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করেছে। ফলে জমির সংকট তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে মোট ছাত্র ৫৫০ জন। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে প্রধান শিক্ষকসহ মাত্র ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। সহকারী শিক্ষকের ৮ জনের পদে রয়েছেন মাত্র ৬ জন। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষক মো. বায়েজীদ মাহমুদ সময়মতো কখনোই উপস্থিত হন না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি বলে জানায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক সংকট থাকার পরও প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস নেন না। বিদ্যালয়টিতে প্রতি বছরই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাই যত দ্রুতসম্ভব এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট দূর করতে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

অন্য খবর  ঢাকা জেলা পরিষদের এক বছরপূর্তি উদ্যাপন

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রেহেনা বেগম শিক্ষক সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী প্যাটার্ন অনুযায়ী এই বিদ্যালয়ে ১০ জন শিক্ষক থাকার কথা। বর্তমানে ৬ জন শিক্ষক দিয়ে ৫৫০ শিক্ষার্থীর পাঠদান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এই বিদ্যালয়ে দূরের কোনো শিক্ষক বদলি হয়ে আসতে চান না।

বিদালয়ের সভাপতি মো. টিপু জানান, প্রতি মাসেই শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। কেন শূন্য পদগুলোতে সময়মতো শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করা হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয়। শিক্ষক সংকট নিরসনে কোনো প্রকার অবহেলা বা কালক্ষেপণ মোটেই কাম্য নয়।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হিন্দোল বারী জানান, এই বিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্নিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শিগগির এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান।

আপনার মতামত দিন