দোহার পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানেই দেখা যাচ্ছে এমন সব ময়লার স্তূপ। এতে করে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। নির্দিষ্ট কোন ডাস্টবিন না থাকায় রাস্তার পাশে এভাবে ময়লা ফেলে রাখায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব স্থান দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজারো পথচারী ও শিক্ষার্থীদের ।
দোহার পৌর এলাকায় রয়েছে দোহার থানা, উপজেলা পরিষদ, জয়পাড়া মডেল হাই স্কুল, বেগম আয়েশা উচ্চ বলিকা বিদ্যালয়, জয়পাড়া মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসা, ঐতিহ্যবাহী জয়পাড়া কলেজসহ, অসংখ্য ব্যাংক এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম অঞ্চল থেকে এবং আশে পাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বহু মানুষ পৌর এলাকায় এসে বসতি স্থাপন করছে । প্রতিনিয়ত লোকজন এসে বসবাস করছে এই পৌর এলাকায়। ফলে আবাসিক এলাকাগুলোতে মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌর এলাকায় বাড়ি ঘর নির্মাণ করার জন্য এক টুকরো জমি পাচ্ছেনা এমন অবস্থা বর্তমানে দোহার পৌর এলাকার। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে জমির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। অধিক জনসংখ্যার ফলে পৌর এলাকায় ময়লার সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন। যত্রতত্র ফেলে রাখা এসব আবর্জনা পরিষ্কার করছেনা পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা আঃ মান্নান অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গেই বলেন, ”নামেই প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা, কাজের কাজ কিছুই হয়না এখানে। অথচ আমরা প্রতিনিয়ন পৌর কর দিয়ে যাচ্ছি, আমাদের এলাকায় নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই আমাদেরকে রাস্তার পাশেই যত্রতত্র ফেলতে হচ্ছে ময়লা। নিয়মনুযায়ী পৌর কর্তৃপক্ষের এসব ময়লা অপসারনের কথা থাকলেও কখনো তা চোখে পড়েনি। এ বিষয়ে বারবার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও নেওয়া হয়নি কোন উদ্দোগ”।
শুধু ১নং ওয়ার্ড নয়, দোহার পৌরসভার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই দেখা যায় এমনসব ময়লার স্তূপ । ২০০০ সালে পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর দীর্ঘ ১৬ বছর পার হলেও সীমানা জটিলতার মামলায় বন্ধ রয়েছে নির্বাচন। ফলে পৌরসভার কার্যক্রম অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে বলেও ধারণা করছেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে দোহার পৌরসভার মেয়র আব্দুর রহীম মিয়া জানান , ” আপনারা সাংবাদিকেরা থাকেনই এগুলা নিয়ে। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। পৌরসভা থেকে নিয়মিত ময়লা পরিস্কার করা হয়।” এই বলে ফোন কেটে দেন তিনি”।