মোহাম্মদ মামুন
ঈদকে সামনে রেখে সব পোষাকের পাশাপাশি লুঙ্গির চাহিদা বেড়ে যায় ব্যাপক হারে। পুরুষের জন্য লুঙ্গি হচ্ছে একমাত্র আরামের পোষাক। পূর্বে সাধারানত বয়স্ক লোকেরা লুঙ্গি পরিধন করলেও, এখন সব বয়ষের ছেলেরাই ঈদে পাঞ্জাবির সাথে ফ্যাশনের জন্য ব্যবহার করছে লুঙ্গি।
তাই ঈদকে সামনে রেখে লুঙ্গি বুনানোর কারিগরদের কাজের যেন শেষ নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে লুঙ্গি বুনানো হয়, কিন্তু দোহার নবাবগঞ্জের কারিগরদের বুনানো লুঙ্গির চাহিদা সারা দেশে একটু বেশি। কারণ এখানকার কারিগরেরা অত্যন্ত যত্ন সহকারে ও উন্নত মানের সুতার শৈল্পিক বুননে লুঙ্গি বুনে থাকে। এ লুঙ্গিগুলো পাকা রঙের, আকারে বড়, সঠিক মাপের এবং অন্যান্য লুঙ্গির চাইতে অধিক টেকসই ও আরামদায়ক।
বিলুপ্তির পথে হলেও দোহার নবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এখনো লুঙ্গি বুনানো হয়। দোহারের জয়পাড়া, মালিকান্দা ও রাইপাড়া, নবাবগঞ্জের বাগমারা, বাহ্রা, দিঘিরপার, খানিপুর ও বান্দুরার আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখতে পেলাম লুঙ্গি বুনানোর কারিগরেরা খুবই ব্যস্ত। এ বছর রমজানের শুরুতে টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় তাদের কাজের চাপ আরো বেড়ে গেছে, দিন রাত ২৪ ঘন্টায় কাজে ব্যস্ত তারা। নারী-পরুষ, এমন কি পরিবারের ছোটরাও এখন লুঙ্গি বুনানোর কাজে সাহায্য করতে ব্যস্ত।
লুঙ্গি বুনানোর কারিগরদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, এসব লুঙ্গি তৈরি হওয়ার পর শিবরামপুর, নিউমার্কেট ও বাবুরহাট হয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া জয়পাড়া ও নবাবগঞ্জের লুঙ্গির দোকান গুলোতেও স্থানীয় লুঙ্গির চাহিদাই বেশি। তবে এবছর সুতার দাম বেশি হওয়ায় লুঙ্গির দাম কিছুটা বেশি।
ছবি: লুঙ্গি বুনাতে ব্যস্ত তাঁতী