আলী হায়দার ♦ দোহার-নবাবগঞ্জের মোট বিদ্যূতের চাহিদা ৪০ মেগাওয়াট, এর বিপরীতে এই শীতে সরবরাহ মাত্র ১৫ মেগাওয়াট। এই ঘাটতি পূরণ করতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করলেন দোহার পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মো. আ. মালেক।
১৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার এক সাক্ষাতে তিনি নিউজ৩৯ কে বলেন, “লোডশেডিং আসলে আমরা এখান থেকে করি খুব কম। বেশির ভাগ সময় ঢাকা পল্লিবিদ্যুৎ বোর্ড থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।“
খারাকান্দায় ট্রান্সফরমার চুরির প্রসঙ্গে তিনি বলেন দূর্বিত্তরা ট্রানফরমার চুরি করতে আসলে এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। তিনি জানান ট্রান্সফরমার চুরিরোধের ব্যাপারে তিনি অনেকটাই নিশ্চিন্ত, কারন এখন একটি নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে, ট্রান্সফরমার এর দুই পাস থেকে ওয়ালডিং করে দেয়া হচ্ছে দুই খুটির সাথে এবং এর ফলে এখন আর ট্রান্সফরমার চুরি করতে পারবে না। খুবই শিঘ্রই সব ট্রান্সফরমারে এই নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।
দোহার পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন নিউজ৩৯ -কে জানান চুরিরোধের বিষয়ে গণসচেতনার দরকার। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন পরীক্ষার সময় যেন বিদ্যুতের সমস্যা না হয় এ ব্যাপারে তারা যথেষ্ঠ খেয়াল রাখবেন। আর যদি ঢাকা পল্লিবিদ্যুৎ বোর্ড থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয় তাহলে তাদের কিছুই করার নেই।
অভিযোগ কেন্দ্র সম্পর্কে মো. আ. মালেক বলেন, অভিযোগ কেন্দ্র থেকে প্রতিনিয়ত অভিযোগ আমাদের কাছে জমা হয়। তারা সমস্যার দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করেন।
জনসাধারনের অভিযোগ যে অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করা হলে ফোন ধরা হয় না, এ সম্পর্কে তিনি বলেন অভিযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বে যারা থাকেন হয়তো এটা তাদেরই একরকম গাফেলতি। তিনি আরো বলেন ফোন না ধরার ব্যাপারে তারা আলোচনা করবেন।
আ. মালেক আশ্বাস দিয়ে বলেন যে অভিযোগ কেন্দ্র সবসময় সবার জন্য খোলা, তারা জনসাধারনের সাহায্যে সবসময় নিয়োজিত থাকবেন এবং দোহার-নবাবগঞ্জে পুরোপুরি বিদ্যুৎ দেবার চেষ্টা করবেন।