দোহার নবাবগঞ্জ কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত

1797
দোহার নবাবগঞ্জ কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত

১৯৬৫ সালে অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রথম মহাবিদ্যালয় দোহার নবাবগঞ্জ কলেজের। ২০১৫ সালে এর অর্ধশতবর্ষ পূর্ণ হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ ও ৫ তারিখে দুইদিন ব্যাপি এর সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হয়।

অনুষ্ঠান ঘিরে কলেজ প্রাঙ্গন মিলন মেলায় পরিণত হয়। সবাই নেচে-গেয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসব পালন করে। কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র তপন কুমার বর্মন, চাষী বাহার, কালিপদ মাস্টার, আলমগীর সামাদ, দিল রওশনারা, স্বপন বকশিসহ অনেকেই কলেজ জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত শিল্পী মিলাসহ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। এদিন সঙ্গীত পরিবেশন করে দেশের খ্যাতনামা রক ব্যান্ড ওয়াফেজ।

শুক্রবার প্রথম দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল। তিনি অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বলেন, দেশ গড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুদক্ষ ক্যাপ্টেন। দেশের উন্নয়নসহ প্রতিটি কার্যক্রমে সফলতায় বাংলাদেশর নেতৃত্ব দিয়ে যে জয় এনে দিয়েছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সু-দক্ষ ক্যাপ্টেনের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।

এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী ঢাকার কেরাণীঞ্জের জানজট নিরসনের জন্য কেরাণীগঞ্জের সৈয়দপুর থেকে মাওয়া মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করে একটি বাইপাস সড়ক তৈরি, ইছামতি নদী খনন ও ঢাকা বান্দুরাসহ মৈনট ঘাট পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটিকে রাস্তা প্রসস্ত করে মহাসড়কে উন্নিত করার আশ্বাস দেন।

অন্য খবর  দোহারে পালামগঞ্জ বণিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত

কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইউনিক গ্রুপের এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুর আলী, শিল্পকলা একাডেমির মহা-পরিচালক লিয়াকত আলী লাকি, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী আতা উদ্দিন খানের পুত্র হাসানুজ্জামান খান, সাবেক এডিশনাল আইজিপি মো. নাজমুল হক পিপিএম, শহীদুল্লাহ খান, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র দত্ত, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু এবং শিক্ষক মন্ডলী, বর্তমান ও সাবেক  শিক্ষার্থীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি, সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার হারুনুর রশিদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আবদুল বাতেন মিয়া, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শহীদুল্লাহ খান, নাজমুল হক, আজিজুর রহমান ফকু, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসানুজ্জামান খান, অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র দত্ত, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল আহসান, প্রাক্তন ছাত্র চাষী বাহার, সাবেক ভিপি আমজাদ হোসেন, আবদুর রহিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন, সাইদুর রহমান খান সোহেল, আনার কলি পুতুল, মরিয়ম জালাল শিমু, নার্গিস মল্লিক, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দন ঝিলু, মো. জালাল উদ্দিন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. ইব্রাহীম খলিল, জাতীয় পার্টি নেতা জুয়েল আহমেদ, জাহাঙ্গীর চোকদার, শাহাজান, খলিলুর, সামসুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা এমএ জামান, আসাদুজ্জামান চৌধুরী রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন