প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান বলেছেন, নৌকাবাইচ বাঙালির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাজার বছরের গ্রামবাংলার সংস্কৃতির অংশ হিসেবে ধারাবাহিক ভাবে সুস্থ বিনোদন হিসেবে চলে আসছে, এসব ছড়িয়ে দিতে হবে। তাই এই নৌকা বাইচকে ধরে রাখতে হবে। হারাতে দেয়া যাবে না।
গতকাল বিকালে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার খানেপুর, আলালপুর ও শৈল্ল্যা গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নৌকাবাইচ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ ব্যাপারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি বলেন, দোহার নবাবগঞ্জে অনেক নদী রয়েছে। যার বেশির ভাগই বিলীনের পথে। এসব নদীর তালিকা তৈরি করে শিগগিরই খনন করা হবে। তিনি বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে গিয়ে বাংলার হাজার বছরের অনেক ঐতিহ্যই আজ বিলীনের পথে।
মাননীয় এম পি মহোদয়, জননেতা জনাব সালমান ফজলুর রহমান সাহেব।
Posted by Neloy Iqbal on Wednesday, September 4, 2019
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এভাবে হারিয়ে যেতে দেয়া ঠিক হবে না। তাই আমাদের যেকোনো মূল্যে বাংলার সকল ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। ইছামতি ও পদ্মা নদীর সংযোগস্থল কাশিয়াখালী বেড়িবাঁধ এলাকায় জলকপাট নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। পাল্টে যাবে ইছামতি নদীর চেহারা, ফিরে পাবে তার হারানো যৌবন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলু, পিএমও তোফাজ্জল হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সালাহউদ্দীন মনজু, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত, ব্যবসায়ী এম.এ বারী বাবুল মোল্লা, মো. কামাল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. নান্নু মিয়া ও মোশারফ হোসেন মোল্লা প্রমুখ।
এসময় নৌকাবাইচ দেখতে ইছামতি নদীর দুই পাড়ে ছিল উপচে পড়া দর্শক। নদীর দু’পাড়ে শিশু, নারী, পুরুষসহ উপস্থিত প্রায় অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ। ইঞ্জিনচালিত ও পানসি নৌকা নিয়ে নদীতেও ছিল মানুষের সরব উপস্থিতি। দর্শকের টান টান উত্তেজনার মধ্যেই বাইচের নৌকার মাঝিরা হাঁক দিলেন হেঁইয়ো-রে হেঁইয়ো। দর্শকদের হর্ষধ্বনি আর হাততালি বাড়তি উৎসাহ দিলো মাঝি-মাল্লাদের। নৌকাবাইচকে ঘিরে নদীর দুই পাড়ে বসে হরেক রকমের দোকান। দর্শকদের আনন্দ দিতে বিভিন্ন নৌকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। নৌকাগুলোতে এ অঞ্চলের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।