ইতোমধ্যে কিন্তু আমাদের দেশে এই রোগটি মহামারী আকার ধারণ করতে শুরু করেছে।কিন্তু আমরা অনেকেই এই রোগটাকে তেমন গুরুত্বই দিচ্ছি না।আমরা অনেকেই বেপরোয়া ভাবে নিজেদের মন মতো চলাফেরা করছি।আসলে ভাইরাসটি চোখে দেখিনা বলে আমরা তেমন গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি না।তার ফল কিন্তু আমাদের চোখের সামনেই! কারন আমাদের দেশে কিন্তু তরুণরাই বেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত।তাই আমাদের এই ভাইরাস সম্পর্কে ধারণাটা একটু হলেও পাল্টানো উচিত।নয়তো ফল ভয়াবহ হবে।আমাদের একটু ভাবা উচিত যে আমরা যা চোখে দেখি সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।কিন্তু এটি তো চোখে দেখছি না,তাই আমরা তেমন কোনো কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও গ্রহণ করতে পারবো না।সেজন্য একটু বেশি সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।
যেহেতু আমাদের দেশে এ রোগটি মহামারী আকার ধারণ করতে শুরু করেছে,তাই আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে আরও বেশি সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। কারন আজকের একটু সর্তকতাই পারে আমাদেরকে সুস্থ রাখতে।আমাদের মনে রাখা উচিত”একটি দূর্ঘটনার সারা জীবনের কান্না “।আজকে আমরা বাহিরে ঘুরছি,সরকারের দেয়া নির্দেশ মানছি না।কালকে আমি এই ভাইরাসটা বহন করে আনলে শুধু আমার না,আমার আপনজনগুলোকেও হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছি।আপন মানুষগুলোকে নিজের হাতে মৃত্যুর দিকে আরও একধাপ এগিয়ে দিচ্ছি। তাই আমার মতে সকলের সরকারের দেয়া সকল নিয়মাবলি পালন করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা উচিত।এই সময়টা সাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকলে নিজের পাশাপাশি অন্যেরও উপকার করা হবে।বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে,স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে,প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না গেলে,অতি প্রয়োজনে বাহিরে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে যদি চলাচল করি তাহলেই এই সময়ে আমাদের জন্য সবচেয়ে মঙ্গলজনক হবে।
লকডাউন উঠিয়ে দেওয়ায় আগামী ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে দোহার-নবাবগঞ্জ-কেরানিগঞ্জ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে–
১. বিদেশ থেকে আগত লোকের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।
২. যারা ঠাণ্ডা -কাশিতে আক্রান্ত তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।
৩. প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাতে কেউ ঘুরাফেরা না করতে যায় সেটা নিশ্চিত করা।
৪. বাজার/মুদিমালের দোকানগুলোরে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নিদিষ্ট দূরত্বে মার্ক করে দেয়া।
৫. রাস্তাঘাটে কিছু জায়গায় সাবান এবং পানি রাখার ব্যবস্থা করা।
৬. সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন করার জন্য লিফলেট লাগিয়ে দেয়া যেতে পারে দোকান/গাড়িগুলোতে।
৭. সবাই যাতে দূরত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ জায়গা থেকে সআেতন হয় এ বিষয়ে বুঝানোর জন্য মাইকিং করা যেতে পারে।
সারা পৃথিবী এখন থমকে গেছে এই ভাইরাসের জন্য। তাই এই ক্রান্তিলগ্নে এসে আমাদেরও পড়াশোনায় অনেক প্রভাব পড়ছে।আমাদের দেশের সরকার কিন্তু পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ছোট সোনামনিদের জন্য লাইভ ক্লাস “ঘরে বসে শিখি ” এবং ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির লাইভ ক্লাস “আমার ঘরে আমার স্কুল”। যদিও এটা বাস্তব জীবনের পড়াশোনার চেয়ে অনেক আলাদা তারপরও এই সময়ে এটাই আমাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ।এত দীর্ঘ সময় পড়াশোনা ছেড়ে থাকার ফলে আমাদের পড়াশোনায় অনেকটা ব্যাঘাত ঘটবে কিন্তু তারপরও আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
এই ভাইরাসের জন্য সবকিছু বন্ধ। আবার অনেকে আক্রান্ত হয়ে মারাও যাচ্ছে। তাই আপনজনকে হারিয়ে পৃথিবী আবার আগের অবস্থানে আসলেও সবকিছু অনেকটা পাল্টে যাবে।তাছাড়া এটা তো একদিন দুদিনের বিষয় না।ঔষধ আবিষ্কার হলেও সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে কয়েক বছর।তাই সবকিছুতেই পরিবর্তন আসবে।কাজের জায়গা,চলাফেরা, মেলামেশা সবকিছুর একটা পরিবর্তন সাধিত হবে। অনেকের জন্যই এটা বিরম্বনার কারন হয়ে দাঁড়াবে।
একজন তরুন হিসেবে সকল তরুণ মিলে যে ধরনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে–
১. আমাদের নিজেদের স্বার্থে যেন নিজেরা সচেতন হই এটা মানুষকে তারা নানা রকম উদ্যোগ নিয়ে বুঝাতে পারে।
২. এই সময়ে গরিব অসহায় মানুষগুলো খেতে না পেরে নানা রকমভাবে কষ্ট করছে।তাদের পাশে দাঁড়াতে পারে।
৩. রোগীদের সেবা করার জন্য অনেক জায়গায় স্বেচ্ছাসেবক নিচ্ছে, সেখানে তারা নিজেরা সাবধান থেকে যোগদান করতে পারে।
৪. সাধারণ মানুষ যারা অজ্ঞ তারা যাতে সরকারের দেয়া সকল নিয়মাবলি মেনে চলে সেগুলো বুঝাতে পারে।
৫. সর্বাপরি সবাই যেন সচেতন থাকে,স্বাস্থ্যকর খাবার খায়,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে,সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে এগুলো মাথায় রাখতে হবে।
আমাদের একটু সচেতনতাই পারে এই সময়ে নিজেদের সুস্থ রাখতে।ভালো রাখতে।সবাই মিলে সবার সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা উচিত যেন আমাদের সুস্থ রাখেন।
#Stay home
Stay safe…….
ধন্যবাদ
মিতানূর শরীফ মাসনা
সরকারি পদ্মা কলেজ
দোহার- ঢাকা