তথ্য-প্রযুক্তি সেবা কাজে লাগিয়ে দোহার-নবাবগঞ্জের সরকারি হাসপাতাল টেলি-মেডিসিনের আওতায় আনা হচ্ছে – সালমান এফ রহমান এমপি

182

জোবায়ের শরিফ, নিউজ৩৯ঃ শনিবার বিকালে ঢাকার নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের নয়াকান্দা হামিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, ঢাকা-১ সাংসদ সালমান এফ রহমান বলেছেন, ইতিমধ্যে দেশব্যাপি অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ওয়াই-ফাই এর সহায়তায় তথ্য-প্রযুক্তি সেবা চালু করেছে সরকার। তথ্য-প্রযুক্তি সেবা কাজে লাগিয়ে খুব শীঘ্রই দোহার-নবাবগঞ্জের সরকারি হাসপাতাল টেলি-মেডিসিনের আওতায় আনা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে। এতে চিকিৎসা ব্যয় কমে যাবে। এররই ধারাবাহিকতায় আগামী একমাসের মধ্যে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দুটি ইউনিয়ন কমিউনিটি সেন্টারের মাধ্যমে যুক্ত করে পরীক্ষামূলকভাবে এই টেলি-মেডিসিন কার্যক্রম শুরু হবে। সফল হলে দুই৷ উপজেলাব্যাপি এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই সেবা নিশ্চিত করা হবে।

সালমান এফ রহমান এমপি বলেন, দেশের ১মিলিয়ন মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বাড়িতে বসে আয় করছে। তাই শিক্ষার্থীদের এ ব্যবস্থায় যুক্ত করতে স্কুল গুলোতে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। যাতে তারা স্বনির্ভর হয়ে বড় হতে পারে। এর জন্য নবাবগঞ্জের ১৮০টি স্কুল নিয়ে ৩/৪ মাসের মধ্যে একটি প্রকল্প গ্রহন করা হবে।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে পানিবন্দি হাজারো পরিবার

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কৈলাইল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ পান্নু মিয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
উপস্থিত ছিলেন- দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজু, দোহার সার্কেলের এএসপি এস এম জহিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিবুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল, দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান- সাফিল উদ্দিন মিয়া, ইব্রাহীম খলিল, দেওয়ান তুহিনুর রহমান, আব্দুল জলিল বেপারী, নন্দলাল সিং, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।
সন্ধ্যায় অ্যাক্রোবেটিক শো প্রদর্শন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডমির শিল্পীরা। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আপনার মতামত দিন