ঢাকার যেসব আসনে প্রার্থী দিতে চায় জাতীয় পার্টি

    607

    ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বর্তমানে তিনটি জাতীয় পার্টির (জাপা) দখলে। মহাজোটগত নির্বাচনে এ আসন তিনটি লাভ করে বর্তমান সংসদের বিরোধী দল। বাকি ১৭টি আসনে নেই জনপ্রিয় ও ত্যাগী প্রার্থী। এ ছাড়া বেশিরভাগ আসনেই নামমাত্র প্রার্থী থাকলেও তাদের বিকল্প কেউ নেই। এসব আসনে দলীয় প্রার্থী খুঁজতে দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েক নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

    ঢাকার প্রার্থী বাছাইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাপার দুই শীর্ষ নেতা বলেন, জাতীয় পার্টি ঢাকার বাইরের আসনগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এবারও আমরা মহাজোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে প্রতি আসনে একাধিক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া ঢাকার রাজনীতি পুরোপুরি জাপার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা বর্তমান সংসদের তিনটি আসন ও ঢাকা-১৭ ধরে রাজধানীর প্রার্থী ঠিক করছি। এ ছাড়া পার্টির চেয়ারম্যানের নির্দেশে অন্য ১৬টি আসনেও প্রার্থী চূড়ান্ত করে রাখতে মাঠে কাজ করছি। কারণ এককভাবে নির্বাচন করতে হলে তো সব আসনেই প্রার্থী দিতে হবে।

    বর্তমান সংসদে ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ঢাকা-১ আসনে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, এরইমাঝে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির পক্ষে বর্তমান সরকারের সময়ে বাস্তবায়িত হওয়া ঢাকার নবাবগঞ্জ ও দোহার এলাকার বিভিন্ন গণউন্নয়নমুখী কার্যক্রমের প্রচার শুরু হয়েছে। দোহার উপজেলার জয়পাড়া হাট-বাজারে উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের তালিকাসংবলিত পোস্টার, হ্যান্ডবিল ও লিফলেট বিতরণ করছে দোহার উপজেলা জাতীয় পার্টি। এ সময় নেতারা পথসভা করে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির প্রচেষ্টায় হওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের তথ্য জয়পাড়া হাট-বাজার ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরছেন। গত নির্বাচন তিন্নি বর্তমানে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এড আঃ মান্নান খানকে পরাজিত করেন। তাই এই নির্বাচনে তিনি কোন ভাবেই তার আসন হাতছাড়া করতে চান না।

    অন্য খবর  ইছামতী কলেজ ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতিকে নিয়ে বিতর্ক

    ঢাকা-৪ আসনে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশীদ জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছেন। বাকি ১৭টি আসনের ১৪টিতে আওয়ামী লীগ, ১টি বিএনএফ, ১টি ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটি স্বতন্ত্র এমপি প্রতিনিধিত্ব করছেন।

    জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ও ঢাকা মহানগরের নেতৃত্বে থাকা একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার প্রতিনিধিত্বকারী তিনটি আসনে দলের প্রার্থিতায় কোনো পরিবর্তন আনবেন না এরশাদ। এ ছাড়া জোট-মহাজোট যে ফর্মেটেই নির্বাচন হোক, ঢাকা-১৭ আসনটি এবার এরশাদ হাতছাড়া করতে চাচ্ছেন না। গত ৯ম সংসদে এই আসনটি এরশাদের দখলে ছিল। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট হাইকমান্ডের নির্দেশে এরশাদ তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে আসনটিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন।

    এদিকে দলীয় সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাপার মনোনয়ন পেতে ঢাকা-২ আসনে হাজি মো. শাহজাহান জাপার প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আসনটিতে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। ঢাকা-৩ আসনে এখনো দলীয় প্রার্থী খুঁজে পায়নি জাপা। ঢাকা-৫ আসনে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ। তিনি এলাকায় পোস্টারিং করেছেন। জানা যায়, জাতীয় পার্টি জোটগত নির্বাচন করলে অন্যান্য আসনের সঙ্গে এই আসনটিও চাইবেন এরশাদ।

    অন্য খবর  ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দোহারের বিদায়ী ইউএনও কে শুভেচ্ছা

    এ ছাড়া ঢাকা ৭-এ হাজি সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ঢাকা-৮ আসনে জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা-৯ আসনে অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা-১১ আসনে জাকির হোসেন মৃধা, ঢাকা-১৩ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ঢাকা-১৪ আসনে মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ঢাকা-১৫ আসনে মো. শামসুল হক, ঢাকা-১৬ আসনে আমানত হোসেন আমানত, ঢাকা- ১৮ আসনে সোহেল রানা ও বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, ঢাকা-১৯ আসনে বাহাউদ্দিন আহমেদ ইমতিয়াজ ও আবুল কালাম আজাদ এবং ঢাকা-২০ আসনে ইসরাফিল খোকনের নাম শোনা যাচ্ছে।

    আপনার মতামত দিন