ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কের বকসনগর বাজার এলাকা খানাখন্দে ভরে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি জমে। এ কারণে সড়কটির এই অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। চালক ও যাত্রীরা পোহাচ্ছেন দুর্ভোগ।
ওই সড়কের বাসচালক মো. আজগর আলী বলেন, ‘এমনিতে রাস্তাটা অনেক সরু। এর ওপরে জায়গায় জায়গায় ভাঙা। এ কারণে ঢাকা যাওয়া-আসায় বেশি সময় লাগে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।’
এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করেন স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সাফা আক্তার। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই সড়কটা ভাঙা, কিন্তু মেরামত করা হয় না। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত কষ্টকর। অটোরিকশায় গেলে ভাঙা এ অংশে অনেক বেশি ঝাঁকুনি লাগে।
বকসনগর ইউনিয়নের অপর একটি বাজার কোমরগঞ্জ। বাজারের রাস্তার দুই পাশেই দোকান। রাস্তার অনেক অংশের পিচ উঠে গেছে। অনেক জায়গায় খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে।
কোমরগঞ্জের বাসিন্দা মো. আজর আলী বলেন, এখানে মাঝে মাঝে ভাঙা রাস্তা মেরামত করা হয়। কর্তৃপক্ষ কিছু ইটের টুকরা দিয়ে তার ওপর পিচ ঢেলে চলে যায়। যেদিন রাস্তা ঠিক করে, পরের দিনই পিচ উঠে যায়।
কোমরগঞ্জ বাজারের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক মো. রিপন বলেন, রাস্তাটি বড় গাড়ি চলাচলের উপযোগী নয়। এরপরও অনেক গাড়ি চলাচল করে। রাস্তা ভাঙা থাকার কারণে এখানে মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ মুন্সিগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশীদ বলেন, এই মুহূর্তে সড়ক সংস্কার করার মতো কোনো বাজেট নেই। তবুও যেসব মালামাল রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে রাস্তা উঁচু করে পানি জমা বন্ধের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সামনে বাজেট হলে রাস্তাগুলো মেরামত করা হবে। রাস্তার পাশে নর্দমার ব্যবস্থা করা হবে।
আপনার মতামত দিন