ঢাকা জেলার ৪টি সহ সরকারি হচ্ছে ১০ হাজার কলেজ শিক্ষকের চাকুরি

339

ঢাকা: নতুন ঘোষিত সরকারি কলেজগুলোর দশ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি সরকারি হচ্ছে এ বছর। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কয়েকটি ধাপে সরকারি হওয়া ৩০৩টি কলেজের প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষকের মধ্য থেকে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে ২০১৯ সাল শেষ হওয়ার আগেই সরকারি করা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক শাহেদুল খবির চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, সরকারি হতে যাওয়া এসব শিক্ষকদের যোগ্যতা ও পাঠদানের সক্ষমতা যাছাই-বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে চলেছে। অক্টোবরের মধ্যেই মাউশি শিক্ষকদের নির্বাচিত করে একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। কাজ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে বলা যায়, এ বছরের মধ্যেই দশ হাজারের বেশি শিক্ষক সরকারি হবেন।

শাহেদুল খবির বলেন, ‘শিক্ষক সরকারিকরণের কাজটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও চাচ্ছে এ বছরের মধ্যেই শিক্ষকদেরকে একটি খুশির সংবাদ দিতে। এজন্য মাউশিও দুই মাসের মধ্যে সরকারি হতে যাওয়া শিক্ষকদের তালিকা চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। সেখানেই সরকারিকরণের বাকি কাজ শেষ হবে।’মাউশি জানাচ্ছে, অক্টোবরে সরকারি হতে যাওয়া কলেজ শিক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত হলে সেটি প্রথমে যাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এই মন্ত্রণালয় তালিকাটি গ্রহণ করে সরকারি কর্মকমিশনে পাঠাবে। সেখানে শিক্ষকদের যোগ্যতা ও সক্ষমতার বিষয়ে উচ্চতর অনুসন্ধান শেষে তালিকাটি পুনরায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।

অন্য খবর  দোহারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বাষিক পালন

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের আগস্টে প্রথম ধাপে ২৭১টি বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণের জন্য সরকারি আদেশ জারি করা হয়। পরে বিচ্ছিন্নভাবে আরও ৩২টি কলেজকে সরকারিকরণ করা হয়। সবমিলিয়ে নতুন ঘোষিত সরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০৩টি।

প্রথম দফায় সরকারি হওয়া কলেজগুলোর মধ্যে ঢাকা জেলার ৪টি, মানিকগঞ্জের ৪টি, নারয়ণগঞ্জের ৩টি, মুন্সীগঞ্জের ৩টি, গাজীপুরের ৩টি, নরসিংদীর ৪টি, রাজবাড়ির ২টি, শরীয়তপুরের ৪টি, ময়মনসিংহের ৮টি, কিশোরগঞ্জে ১০টি, নেত্রকোনার ৫টি, টাঙ্গাইলে ৮টি, জামালপুরে ৩টি, শেরপুরে ৩টি, চট্টগ্রামে ১০টি, কক্সবাজারে ৫টি, রাঙামাটি ৪টি, খাগড়াছড়িতে ৬টি, বান্দরবানে ৩টি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ফেনীতে একটি করে, কুমিল্লায় ১০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬টি, চাঁদপুরে ৭টি, সিলেটে ৯টি, হবিগঞ্জে ৫টি, মৌলভীবাজারের ৫টি, সুনামগঞ্জে ৮টি, রাজশাহীতে ৭টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২টি, নাটোরে ৩টি, পাবনায় ৭টি, সিরাজগঞ্জে ৩টি, নওগাঁ জেলায় ৬টি, বগুড়ায় ৬টি, জয়পুরেহাটে একটি, রংপুরে ৭টি, নীলফামারীতে ৪টি, গাইবান্ধায় ৪টি, কুড়িগ্রামে ৭টি, দিনাজপুরে ৯টি লালমনিরহাটে ৩টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি, পঞ্চগড়ে ৪টি, খুলনায় ৫টি, যশোরে ৫টি, বাগেরহাটে ৬টি, ঝিনাইদহে একটি, কুষ্টিয়ায় ২টি, চুয়াডাঙ্গায় ২টি, সাতক্ষীরায় ২টি, মাগুরায় ৩টি, নড়াইলে একটি, বরিশালে ৬টি, ভোলায় ৪টি, ঝালকাঠিতে ৩টি, পিরোজপুরে দুটি, পটুয়াখালীতে ৬টি, বরগুনায় তিনটি করে কলেজ রয়েছে।

অন্য খবর  পদ্মা বাঁধ দখল করে ইট-বালুর ব্যবসা

পরে যে ৩২টি কলেজ বিচ্ছিন্নভাবে সরকারি হয়েছে সেগুলোর জেলাভিত্তিক তালিকা পাওয়া যায়নি। বর্তমানে এই কলেজগুলোসহ দেশে মোট সরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩০টি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সরকারি স্কুল ও কলেজবিহীন উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে ৩২৯টি স্কুল ও ২৯৯টি কলেজ জাতীয়করণে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী।

আপনার মতামত দিন