নিউজ ৩৯ ডেস্ক ♦ সিনেমা হল মানুষের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। এক সময় পরিবারের সবাইকে নিয়ে মানুষ দল বেধে সিনেমা হলে ছায়াছবি দেখতে যেত। কিন্তু অশ্লীল সিনেমা প্রর্দশন ও পাইরেসির কারনে সিনেমা হলের সেই অবস্থা এখন আর নেই। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে অশ্লীল সিনেমা প্রদর্শন। কয়েক মাস বিরতি দিয়ে জয়পাড়ার কিছুক্ষন সিনেমা হলে আবার শুরু হয়েছে অশ্লীল সিনেমা প্রদর্শনী।
কয়েক মাস পূর্বে যখন এই অশ্লীল সিনেমা নিয়ে নিউজ ৩৯ থেকে রির্পোট করা হলে তা দোহার নবাবগঞ্জে সাড়া ফেলে। এর পর মনে করা হয়েছিল যে দোহারে অশ্লীল সিনেমা প্রদর্শন কিছুদিনের জন্য হলেও বন্ধ থাকবে। কিন্তু আবার শুরু হয়েছে প্রদর্শন। রাস্তা ঘাট ছেয়ে ফেলা হয়েছে এই অশ্লীল সিনেমার পোস্টার দিয়ে। ফলে রুচিশীল মানুষের পক্ষে রাস্তায় বেরোনো দায় হয়ে পড়েছে। সাধারন মানুষ এই ব্যাপারে যেমন প্রচন্ড বিরক্ত তেমনি এর কুফল নিয়েও রয়েছে আতঙ্কে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুল কলেজের ছাত্রীদেরও। তারপরও এ নিয়ে প্রশাসন নিশ্চুপ। তারা নিচ্ছে না কার্যকরী কোন ব্যাবস্থা। দোহারে কয়েক মাস ধরে আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে ইভটিজিং-এর ঘটনা। সাধারন মানুষের মতে এর জন্য অনেকটাই দায়ী এরকম সিনেমা প্রদর্শন। এসব সিনেমার মূল দর্শক মূলত উঠতি বয়সী ছেলে ও শ্রমিক শ্রেণীর জনগন। কয়েক দিন দোহার থানার এক স্বনামধন্য উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে জরিয়ে ধরে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করা এক ছেলে। এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বললে ভুল হবে বলে মনে করেন বিশিসষ্টজনেরা। দোহারের বিভিন্ন স্থানে সাটিয়ে দেয়া হচ্ছে এসব পোস্টার। এর মধ্যে রয়েছে থানার মোড়ের বাস স্টেন্ডের সামনে, জয়পাড়া ব্রিজের মুখে। মুলত যেখানে সবার চোখ পড়ে সেখানেই লাগানো হয়েছে এসব পোস্টার। যার ফলে রাস্তা ঘাটে মানুষ হচ্ছে বিব্রত। কিন্তু এই নিয়ে প্রশাসনের কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। এই নিয়ে মানসিক ডাক্তার ডা: ফরিদের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন “এই সব সিনেমা মানুষের মানসিক অবস্থাকে প্রচন্ড রকমের আঘাত করে। যার ফলে তার মাঝে সৃস্টি হয় নান রকম মানুষিক অস্থিরতা যা তাকে বাধ্য করে ইভটিজিং এর মত নানা রকম অপরাধ করতে।” এত কিছুর পরও বন্ধ করা যাচ্ছে না সিনেমা হলে এসব অশ্লীল সিনেমা প্রদর্শন। এই অশ্লীল সিনেমার হাত থেকে কি মুক্তি নেই দোহারবাসীর?