জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সন্ধ্যায়: ইসি সচিব

16
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সন্ধ্যায়: ইসি সচিব

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার সন্ধ্যায়। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম।

 

জাহাংগীর আলম বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করতে নির্বাচন কমিশনাররা আজ বিকাল ৫টায় বৈঠকে বসবেন। এর পর সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।

এই মুহূর্তে দেশের সব থেকে আলোচিত প্রশ্ন তফসিল কবে। সংবিধান মতে পহেলা নভেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাউন্টডাউন। ডেড লাইন ২৯ জানুয়ারি। অর্থাৎ এই মাসের শুরু থেকে যেকোনো সময় তফসিল দিতে পারবে কমিশন। চলতি সংসদের পাঁচ বছর পূর্ণের আগের ৯০ দিন অর্থাৎ ভোট হতে হবে ২৯ জানুয়ারির মধ্যেই।

নির্বাচনের তফসিল কী: একটি নির্বাচন আয়োজনে যেসব কার্যক্রম রয়েছে তার সবকিছুর সময় বেঁধে দেয়া হয় তফসিলে। এটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখের একটি আইনি ঘোষণা। যেমন প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নের কাগজ কখন জমা দেয়া শুরু করতে পারবেন, সেটি ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নের কাগজ নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে বাছাই করবে, বাছাই প্রক্রিয়ায় যদি সেটি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে প্রার্থিতা প্রত্যাশী ব্যক্তি কতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন, তার সময় বেঁধে দেয় কমিশন। যারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তাদের তালিকা কবে নাগাদ ছাপানো হবে, নির্বাচনী প্রচারণা কবে থেকে শুরু করা যাবে, আর কতদিন পর্যন্ত তা চালানো যাবে – সেটির উল্লেখ থাকে।

অন্য খবর  আসছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভোট

সাধারণত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীক ঘোষণার সঙ্গে প্রচারণা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত থাকে। নির্বাচন কত তারিখ হবে, কোন সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে, আর কোন সময় পর্যন্ত চলবে, তার বিস্তারিত এবং ভোটের পর ভোট গণনা কীভাবে এবং কোথায় হবে, তাও পরিষ্কার উল্লেখ করা থাকে এতে। এক কথায় নির্বাচনের পুরো এ বিষয়টির সমষ্টিই নির্বাচনের তফসিল।

নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ কি বদলানো যায়: নির্বাচন কমিশন চাইলে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ওই ৯০ দিনের মধ্যে দেয়া নির্বাচনের তারিখ বদলাতে পারে। প্রয়োজনে সেটি করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে। সেক্ষেত্রে তফসিল সংশোধন করে এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য তারিখও পরিবর্তন করা যায়।

প্রসঙ্গত, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। ডিসেম্বরের শেষ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আপনার মতামত দিন