জবির শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

93
জবির শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী নিজ বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন ২০১৭-১৮ সেশনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাড়িয়ে  বিচার দাবি করেন ঐ শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীর অভিযোগ ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর শিক্ষক জনাব আবু শাহেদ ইমন নিকতনের নিজ বাসায় অবস্থিত ব্যক্তিগত অফিস কার্যালয়ে তাকে ডেকে নিয়ে ফ্রেন্ডশিপের প্রস্তাব দেয়। তাকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করেন।

ফারজানার আরো জানায় শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন তার শরীরে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বলেন, আমাকে দেখে তোমার কি কখনও কিছু অনুভব হয়নি?  তিনি নানা ভাবে তার যৌন তাড়না প্রকাশ করে বলতে থাকেন ভয় পেয়ো না। এখানে কেউ দেখতে পাবে না, কেউ শুনতেও পাবে না। উনার আচরণে আমি ভয় পেয়ে যাই এবং তৎক্ষণাৎ আমার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতেই আবারও আমাকে জোরপূর্বক শক্ত করে জড়িয়ে ধরেন। আমাকে তার সাথে নোংরা কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে জোর করার চেষ্টা করেন । আমি চিৎকার করে বলতে থাকি স্যার আপনি যা চাচ্ছেন আমি তা চাচ্ছিনা। আমি তেমন মেয়ে না।  আমি পুলিশ ডাকার ভয় দেখালে তিনি আমাকে ছাড়তে বাধ্য হোন।

অন্য খবর  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  দোহার-নবাবগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ কমিটি ঘোষণা।

ফারজানা  নিউজ৩৯ কে জানান, “আমি তার পরের দিন এক সহপাঠীসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে এই ঘটনা জানাই। তিনি জানান উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া বিচার করা সম্ভব না। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া উপাচার্য বরাবর অভিযোগ করলে তা প্রমাণ করতে না পারলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে ছাত্রত্ব বাতিল হতে পারে।”

এই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন তাকে পরবর্তীতে ক্লাসে লাঞ্চনা, এসাইনমেন্ট ও উপস্থিতিতে বৈষম্যের স্বীকার এবং পরীক্ষার স্বল্প মার্কসের ঘটনা ঘটলে ফারজানা উপাচার্যের কাছে এই বিষয়ে বিচারের জন্যে লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ অন্যান্য সহপাঠীদের প্রলোভন দেখিয়ে এবং ভয় দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এমনকি যৌন হয়রানির অভিযোগ সেলেও ঘটনার তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে। সুপরিচিত  হিসেবে পরিচিত এই শিক্ষক প্রশাসনের আস্থাভাজন হওয়ায় বিভাগীয় চেয়ারম্যান এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদেরকেও সংবাদ না করার চাপ দেয়া হয়। বিচার না পেয়ে শিক্ষার্থী ফেসবুকে প্রতিকার চেয়ে পোষ্ট দেয়।    একাই এই শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করতে দাঁড়ান।

আপনার মতামত দিন