ঘূর্নিঝড় বুলবুলের প্রভাব পড়েছে দোহার নবাবগঞ্জের জনজীবনে। অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জন জীবন। বাজার ঘাট ফাঁকা হয়ে পড়েছে। দুপুর ১টার মধ্যেই স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ছুটি হয়ে পড়েছে। দোহার ও নবাবগঞ্জের সব কয়েকটি কেন্দ্রের জেএসসি, জেডিসি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ২য় বর্ষের সকল পরীক্ষা স্থগিত থাকায় অনেকটা ঢিলেঢালা ভাবে চলেছে শিক্ষা কার্যক্রম। প্রতিটি বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি ছিলো কম। দোকানে পণ্য এর সমাহার ছিলো কিন্তু ক্রেতা নেই। সবজির সরবরাহ কম থাকায় তার দাম একটু বেশি। পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি। দুধের দাম তুলনামূলক সস্থা ছিলো। বুলবুলের প্রভাবে রবিবার ছুটিসহ টানা ৩ দিনের এই ছুটিতেও পর্যটন স্পটগুলোতে নেই জনসমাগম। আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে চাইনিজ বা রেস্টুরেন্টে ঘুরতে দেখা গেছে অনেককে। এদিকে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সহ বৈরী আবহাওয়ার মাঝে মিনি কক্সবাজার দোহারের মৈনট ঘাট এক নিস্তব্ধতা পরিবেশ বিরাজ করছে। সেখানে স্থানীয় জনসাধারণ, দোকানী ও লঞ্চ কর্মচারী ছাড়া তেমন কোন পর্যটক দেখা যাচ্ছে না। সবাইই আতংকে যে শেষ মুহুর্তের সিডরের মতো এই ঝড় ঢাকা তথা দোহার-নবাবগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
আপনার মতামত দিন