ফুটবলের কল্যাণে কোস্টা রিকা বাংলাদেশে স্বল্প পরিচিত একটি দল। দলটি এবার এক চমকের নাম, উরুগুয়ে ও ইতালী কে হারিয়ে এবং ইংল্যান্ডের সাথে ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২য় রাউন্ডে উন্নীত হয়েছে।
কোস্টা রিকা নামটির সাথে পরিচিত হবার আরেকটি সুযোগ আছে। যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন দেখবেন ইন্টেলের প্রসেসরের গায়ে লেখা থাকে ‘মেড ইন কোস্টা রিকা’। কোস্টা রিকায় রয়েছে ইন্টেলের একটি চিপ প্রস্ততকারক কারখানা। এই কারখানায় উৎপাদিত প্রসেসর, চিপ রপ্তানী সারা বিশ্বের, যা কোস্টারিকার মোট রপ্তানীর ২০% ও জিডিপি’র ৪.৯%।
এক নজরে কোস্টা রিকা:
রাষ্ট্রীয় নাম: কোস্টা রিকা প্রজাতন্ত্র, República de Costa Rica
ভাষা: স্প্যানিশ
জাতি: স্বেতাঙ্গ ৬৫.৮%, মেস্টিজো ১৩.৬৫%, অভিবাসী ৯.০৩%, মুলাটো ৬.৭২%, আমেরিন্ডিয়ান ২.৪%, নিগ্রো ১.০৩%, এশিয়ান ০.২১%, অন্যান্য ০.৮৮%
রাষ্ট্রপতি: লুই গুইলার্মো সলিস
স্বাধীনতা লাভ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৮২১, স্পেনের কাছ থেকে।
আয়তন: ৫১,১০০ বর্গ কিলোমিটার
জলভাগ: ০.৭%
জনসংখ্যা: ৪৫ লাখ ৮৬ হজার ৩৫৩ জন
জনসংখ্যার ঘনত্ব: প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৮৪ জন
অবস্থান: মধ্য আমেরিকার ছোট একটি দেশ, পূর্ব দিকে ক্যারিবিয়ান সাগর আর পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর; উত্তরে নিকারাগুয়া ও দক্ষিণে পানামা রাষ্ট্র
উইকিপিডিয়া থেকে: লা সেলে বা লস টিকোস ডাকনামে পরিচিত কোস্টারিকা দলকে ফেদারেশিও কোস্টারিসেন্স দ্য ফুতবল নামীয় সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে মেক্সিকো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর এটি তৃতীয় সফলতম ফুটবল দল। মধ্য আমেরিকা থেকে সর্বাপেক্ষা সফলতম দল হিসেবে চারবার ফুটবল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
১৯৯০ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপের অভিষেকেই দলটি ১৬ দল নিয়ে গড়া দ্বিতীয় রাউন্ডে পদার্পণ করে। কিন্তু ২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ফলাফল হিসেবে ৩২ দলের মধ্যে ৩১তম স্থান অধিকার করে।কোস্টারিকা ফুটবল দল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নশিপ লাভ করেছে তিনবার এবং সাতবার আনকাফ ন্যাশনস কাপ জয় করেছে। এছাড়াও তারা চারবার কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দুইবার কোয়ার্টার-ফাইনালে অংশগ্রহণ করে।