করোনা ভ্যাকসিন নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পরতে দেখা গেছে ৬০ উর্ধ্বো বয়সী একজনকে। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একসময় তিনি মাটিতে বসেই পড়েন। পুরুষদের দুইটি ও মহিলাদের দুইটি করে মোট চারটি লাইন করা হয়েছে শুধু রেজিষ্ট্রেশন চেক ও তালিকা করতে। এছাড়া করোনা টেস্ট করাতেও রয়েছে একটি লাইন।
কিন্তু একই স্থানে টিকা দেয়া হচ্ছে পুরুষ ও মহিলাদের। যা দেখতে যেমন খারাপ লাগছে তেমনি লজ্জিত মুখে মহিলারা টিকা গ্রহন করছেন। উচিত ছিল পুরুষ ও মহিলাদের দুইটি আলাদা রুম বা তাবু নির্ধারণ করা। তা না করে দায়সারাভাবে কোন রকম কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা। কেউ কেউ লাইন ভঙ্গ করে আগেই কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা করতে দেখা গেছে। ফলে বিশৃঙ্খলা লক্ষ করা গিয়েছে সব লাইনে। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। কাউকে বুঝিয়ে কিছুই করা যাচ্ছে না। সবাই যেন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে কার আগে কে কাজ শেষ করতে পারে। বৃদ্ধদের অগ্রাধিকার দেয়া বা তাদের সেবা আগে নিশ্চিত করা আমাদের ভদ্রতারই পরিচয়।