একাদশে এখনও ভর্তি হতে পারেনি ৩০ হাজার শিক্ষার্থী

160

চলতি শিক্ষা বর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হলেও এখনও প্রায় ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থী কোথাও ভর্তি হতে পারেনি। তবে কলেজগুলো এখনো নিশ্চয়ন চূড়ান্ত না করায় এ বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হাতে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) নিশ্চয়ন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যাবে।

উল্লেখ্য গত ১ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হয়েছে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। তবে তিন দফায় সুযোগ দেওয়ার পরও চাহিদামত কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়নি প্রায় ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থী। বঞ্চিত এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দিতে চতুর্থবারের মতো আবেদনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ভর্তি কমিটি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মিললে বঞ্চিত এসব শিক্ষার্থীকে ফের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ভর্তির যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে এসব শিক্ষার্থীর ক্লাসে বসতে আরো প্রায় তিন সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. হারুন অর রশিদ বলেন, যেসব শিক্ষার্থী এখনো ভর্তি হতে পারেনি তাদের জন্য সুযোগ রাখা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ভর্তি কমিটি তাদের ভর্তির বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক সম্মতির বিষয়। এ সপ্তাহের মধ্যে সেটি হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অন্য খবর  দীর্ঘসূত্রিতার পুরনো মোড়কে ফিরছে বিসিএস!

শিক্ষার্থীদের চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে হারুন অর রশিদ জানান, ৫ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি নিশ্চয়ন করতে কলেজগুলোকে সময় দেওয়া হয়েছে। তার আগে ভর্তি বঞ্চিতদের সঠিক হিসাব দেওয়া যাবে না। নিশ্চয়নের পর আগামী ৮ জুলাই থেকে নতুন করে বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানিয়েছে, তিন দফা ভর্তির সুযোগ দেওয়ার পরও মোট ২৮ হাজার ৬৬৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়নি। এর মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯১৩ জন। তৃতীয় দফায় ভর্তির মেধা তালিকায় এক লাখ ৫ হাজার ৪১২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে,ভর্তির আবেদনের পর অনেক শিক্ষার্থী কলেজ নিশ্চয়ন করেও পরে ভর্তি হয়নি। আবার অনেকে পছন্দ অনুযায়ী কলেজ না পাওয়ায় নিশ্চয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেনি। সে হিসেবে মোট সংখ্যা ৫০ হাজারের কাছাকাছি। তবে বৃহস্পতিবার নিশ্চয়ন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে সঠিক হিসাব জানা যাবে।

এদিকে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আসছেন নিশ্চয়নকৃত কলেজ থেকে না প্রত্যাহার করতে। বিশেষ করে রাজধানীর কিছু ব্যয়বহুল কলেজ থেকে মাইগ্রেশন বাতিল করতে প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা বোর্ডের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

অন্য খবর  দোহারের বাঁশতলা আইডিয়াল স্কুলে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন

এ বিষয়ে কলেজ পরিদর্শক মো. হারুন অর রশিদ জানান, ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা নিদিৃষ্ট কিছু কলেজকে পছন্দ করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কেননা তারা নতুন করে আবারো ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাদপড়া শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হলেও ২২ জুলাইয়ের আগে তারা ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছেনা। বাদপড়া এসব শিক্ষার্থী আগামী ৮ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত বোর্ড নির্ধারিত ফি দিয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। আগামী ১৪ জুলাই আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। আর ১৫ জুলাই নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশিত হবে। এসব শিক্ষার্থীকে ১৬ থেকে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে। নিশ্চয়ন না করলে আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যাবে। সর্বশেষ ধাপ অনুযায়ি নিশ্চয়ন করা শিক্ষার্থীরা ১৯ থেকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে কলেজের কাজ শেষ করবেন।

আপনার মতামত দিন