এক দিনে ১৪ টি মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা: বিপাকে দোহার-নবাবগঞ্জের চাকরি প্রত্যাশীরা

106

স্টাফ রিপোর্টার, নিউজ৩৯ঃ একই দিনে বাংলাদেশের ১৩ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদে চাকরি পরীক্ষা। বিপাকে পড়েছে দোহার-নবাবগঞ্জের আবেদনকারীরাসহ সারা দেশের চাকরি প্রত্যাশীরা। এমনিতেই চাকুরী বাজার সংকুচিত, সেখানে একইদিনে এতোগুলা বিভাগে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় হতাশা সৃষ্টি হয়েছে দোহার-নবাবগঞ্জের চাকুরী প্রত্যাশীদের মাঝে।

আগামী শুক্রবার যেসব পরীক্ষা : আগামী শুক্রবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর), সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল), সাধারণ বীমা করপোরেশন, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের বিভিন্ন পদের নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই পরীক্ষাগুলোয় অংশ নেওয়ার কথা পাঁচ লাখের বেশি প্রার্থীর।

জয়পাড়া ও পদ্মা কলেজ এবং নবাবগঞ্জ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করা ফিরোজ, কেয়া এবং সুমাইয়ার সাথে কথা হয় নিউজ৩৯ এর।

তারা বলেন, একই সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমরা পড়েছি চরম বিপাকে। প্রতিটিতেই টাকা খরচ করে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনতো একটার বেশি পরীক্ষা দিতে পারছি না। আমাদের অর্থ, সময়, প্রস্তুতি ও সুযোগ নষ্ট হতে যাচ্ছে

অন্য খবর  এসএসসি ১৯শে মে, এইচএসসি ১৮ই জুলাই, কমছে নম্বর ও সময়, থাকছে না আইসিটি

আবার নবাবগঞ্জ কলেজের বেলায়েত হোসেন বলেন, একই সময়ে পরীক্ষা হওয়াটা এক দিক থেকে ভালো। একটা পোস্টের (পদের) বিপরীতে আবেদন করে ১০০ জন। এখন যদি ৫০ জন এখানে পরীক্ষা দেয়, তাহলে ভালো বেশি। তা না হলে দেখা যায়, একজন পাঁচ জায়গায় চাকরি পায়, আর একজন কোথাও চাকরি পায় না।

দোহার থেকে, চাকরি প্রত্যাশী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিথুন হোসেন জয় নিউজ৩৯ জানায়, আমার একই দিনে তিনটি পরীক্ষা। আমি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছি কোন পরীক্ষাটি দিবো। তাছাড়া একই সময় পরীক্ষা হওয়াতে যেকোন একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবো। এমনি করোনার জন্য দুই বছর পিছিয়ে গিয়েছি। অনেকে চাকরি বয়স শেষের পথে। এভাবে পরীক্ষা নিলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। একেতো অনেকগুলো টাকা দিয়ে আবেদন করেছি তার উপর বয়স চলে যাচ্ছে চাকরি পাবো কিভাবে?? । সরকারের উচিৎ ব্যাংকার সিলেকশন কমিটির মতো করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষাগুলো নেওয়া। একই সময়ের পরীক্ষাগুলো তারিখ পরিবর্তন করে আমাদের এই ক্ষতি থেকে রক্ষা করা।

দোহার পৌরসভার নাগরিক ও জয়পাড়া কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করা জুবায়ের শরিফ জানান, কোনটা রেখে কোনটা দিবো সেই দ্বিধায় আছি। আর এতে প্রস্তুতিও ভালো হচ্ছে না। আমরা দোহার-নবাবগঞ্জের সবারই খুব খারাপ অবস্থা। এই ব্যাপারে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।

আপনার মতামত দিন