একজন নবি বিরশেবা থেকে হারান প্রান্তরে গেলেন মামা বাড়িতে। সেখানে গিয়ে মামাতো বোনদের বিয়ে করেন। কালে কালে তার বারো জন পূত্র ও একজন কন্য জন্ম নেয়। তার সবচে প্রিয় পূত্রকে দশ পূত্র কূয়ায় ফেলে দেয়। ভাগ্য তাকে নিয়ে যায় মিশরে, সেখানে জেলবাস থেকে উজিরে পরিণত হন। কানান থেকে নবি পিতা ইয়াকুব ও পরিবারের বাকি সবাইকে নিয়ে যান মিশরে। অনেক অনেক বছর পর আরও একজন বড় নবি আসেন তাদের মাঝে। নবি মুসা ফেরাউনের অত্যাচার থেকে স্বজাতিকে বাচাতে আল্লাহর নির্দেশে লোহিত সাগরের এক প্রান্ত পাড়ি দেন। সেই সময় তার জাতি হিব্রু নামে পরিচিত ছিল।
অনেক ঘটনার পর তারা কানানভূমিতে রাজ্য স্থাপন করে। সেই রাজ্য দুটো ভাগ হয়ে যায়, একটা বিলুপ্ত হয়, অধিবাসীরা চিরকালের জন্য হারিয়ে যায়। অপর রাজ্যও এক সময় বিলুপ্ত হয়। এবার অধিবাসীরা হারিয়ে না গেলেও ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের জনপদে। এসব ইতিহাস মোটামুটি সবার জানা। এর ভেতরেও আরও অনেক গভীর ইতিহাস আছে।
দুই সহস্র বছর পর আবার তারা আলোচনায়, পূর্ব ইউরোপ থেকে দলে দলে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা ফিলিস্তিনে গিয়ে নতুন “রাষ্ট্র” প্রতিষ্ঠা করে। সেই থেকে অদ্যবধি সংঘাত, হত্যা, উচ্ছেদ, যুদ্ধ চলছেই। যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে ইহুদিদের ইতিহাস ও পরিচয় জানার আগ্রহ বেশি।
ফিলিস্তিন-ইজরায়েল কেন্দ্রিক ঘটনাপ্রবাহ, তিনটি ধর্মের এস্কেটেলজি অনুসারে কেয়ামত পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর আভাস, ক্রমবর্ধমান ইহুদি প্রভাব, এসব কারণে মানুষের মধ্যে ইহুদি জাতির ইতিহাস নিয়ে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আর এই কারণেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রসঙ্গে নিয়মিত বই প্রকাশিত হচ্ছে। এতো বেশি বের হচ্ছে যে মনে হচ্ছে সবারই একটা ইহুদি বিষয়ক বই থাকতে হবে।
সেই সব বইয়ের মধ্যে শুরু থেকে ইতিহাসের গভীরতায় ডুব দেবার মত একটা তালিকা করেছি।
১. হিব্রু থেকে ইহুদি
লেখক: খন্দকার মাহমুদুল হাসান
৮৮ পৃষ্ঠার বইটিকে ইহুদি ইতিহাসের একটা বেসিক বই বলা যেতে পারে। আরও বড় ও জটিল ইতিহাস পড়ার আগে সামগ্রীক বিষয়ে প্রথামিক ধারণা নেবার জন্য আদর্শ বই। সেকুলার দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা ইতিহাস বর্ণনা নিরপেক্ষ। জাতির উৎপত্তি, নামের অর্থ থেক শুরু করে আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত ইতিহাস সহজে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে।
২. ইহুদি জাতির ইতিহাস
লেখক: আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ
এই বইটা ইহুদিদের ধর্মীয় ইতিহাস। এতো প্রাচীন ইতিহাসের সবকিছুর ঐতিহাসিক এভিডেন্স নেই। কিন্তু ইহুদি ধর্মে, খ্রিস্টান ধর্মে ও ইসলামে এই ইতিহাস বিবৃত আছে বিশদভাবে। এই তিন ধর্মে কী ঘটনার ধারা বিবৃত আছে সেটি পাশাপাশি বর্ণনা করে গিয়েছেন লেখক আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ। কোথাও কোথাও ইহুদি বর্ণনা ও ইসলামি বর্ণনায় পাথর্ক আছে সেগুলো উল্লেখ করেছেন তিনি। এটা কোনো প্রত্নতাত্বিক ইতিহাসের বই নয়। বাংলা ভাষায় এটাই সবচে বিশদ ইতিহাস। এই ইতিহাস তিনি দুটো বইয়ে লিখেছেন, বাকিটি পরের বইতে।
বইয়ের শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী সংযুক্ত করা হয়েছে, যেটি প্রাসঙ্গিক লাগে নি। তবে এমন ব্যতিক্রমি তথ্যবহুল জীবনী পড়তে ভালও লেগেছে।
৩. ইসরাইলের উত্থান-পতন
লেখক: আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ
উপরের বইটির দ্বিতীয় খণ্ড এটি। আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ এই খণ্ডে ইসা (আ.) এর কিছুটা আগে থেকে বাকি ইতিহাস বর্ণণা করেছেন। আমার একটা জিনিস ভাল লাগে নি, বইয়ের শেষে বিশাল অংশ জুড়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সেই সব প্রশ্নের বেশ কিছু প্রাসঙ্গিকও নয়। এই সব প্রশ্নের উত্তর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতে পারতেন।
৪. ইসরায়েলের পূত্রগণ
লেখক: এম ইদ্রিস আলী
সেকুলার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা ইতিহাস। যদিও ইহুদিদের প্রতি মোহযুক্ত, এবং ইহুদিদের সরবরাহ করা সূত্র গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে; লেখক সেসব লুকান নি, তবু ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করে গিয়েছেন নিরপেক্ষভাবে। তবে প্রথমেই এই বইটি পড়ার পরামর্শ দেব না কারণ এটি একটু এডভান্সড বই। উপরের বই তিনটি যিনি পড়েছেন, অর্থাৎ ইতোমধ্যে ইহুদি ইতিহাস বেশ জানেন তাদের জন্য রিকমান্ডেড। বইয়ের বিশ্লেষণ গভীর। একটা সামগ্রীক বইয়ে ইহুদিদের ইতিহাস, ধর্মীয় বিষয়সমূহ পাওয়া যাচ্ছে। ইহুদি ইতিহাস ও পরিচয় নিয়ে বাংলা ভাষায় সম্ভবত এটিই সবচে’ জটিল কাজ।
৫. জুদাইজম
লেখক: মাসরুর ইশরাক
লেখক নিজেই বলেছেন এই বইয়ে জুদাইজমের তিনটা বিষয় সম্পর্কে তিন ভাগে আলোচনা করেছেন। প্রথম ভাগে আলোচিত হয়েছে হিব্রু জাতির ইতিহাস সম্পর্কে। তাদের উত্থান, সাম্রাজ্য বিস্তার, শাসন কাঠামো, দ্বন্দ্ব এবং অবশেষে পতন। দ্বিতীয় ভাগে হিব্রু জাতির ধর্মীয় বিশ্বাস; তাদের ধর্মীয় গ্রন্থসমূহ, বিশ্বাস, ইহুদি ধর্মের বিবর্তন, আইন ইত্যাদি বিষয়াবলি তুলে ধরা হয়েছে। তৃতীয় ভাগে ইহুদি এস্কেটোলজি, মেসিয়াহ, জায়োনিজম, খ্রিষ্টান এবং মুসলিম সম্পর্কে ইহুদিদের ধারণা, পরকালীন জীবন সম্পর্কে ইহুদি বিশ্বাস প্রভৃতি বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে।
প্রাচীন ইতিহাস এহুদা রাজ্যের পতনের সাথে শেষ করেছেন। এর পরের ইতিহাস ইসরাইলের উত্থান-পতন বইটিতে পাবেন। এই বইয়ে ইহুদি এস্কেটোলজি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বইটির বিশেষ বৈশিষ্য হল লেখক ইতিহাস বর্ণনা করেছেন শুধু ইহুদি রেফারেন্সের ভিত্তিতে, অর্থাৎ ইহুদিরা তাদের ইতিহাস যেভাবে বিশ্বাস করে বা বর্ণনা করে সেভাবে। প্রাচীন ইতিহাসের ব্যাপারে ইহুদি ও খ্রিস্টান বিশ্বাস একই রকম। আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ ইহুদি বর্ণনা ও ইসলামি বর্ণনা দুটোর মধ্যে সমন্বয় করেছেন, কখনও একই রকম, যেখানে আলাদা সেখানে দুটোই উল্লেখ করেছেন। আর মাশরুর ইশরাক দিত চেয়েছেন সেই তথ্য যেটা ইহুদিরা বিশ্বাস করে। তাই ইহুদি বিশ্বাস বোঝার জন্য এটা ভাল বই।
লেখক টার্মগুলো ইহুদিরা যেভাবে উচ্চারণ করত সেভাবে লিখেছেন অথাৎ হিব্রুতে যা বলা হয়, ইংরেজি বা লাতিন এড়িয়ে। সেই হিসেবে বইয়ের নামটি ঠিক করেন নি। যুদাইজম যা ইংরেজিতে জুডাইজম হিব্রুতে ইয়াহুদুত।
৬. জেরুজালেম ইতিহাস
লেখক: সায়মন সেবগ মন্টেফো
জেরুজালেমে জন্ম ও বেড়ে উঠা সায়মন সেবগ মন্টেফোর লেখা ইতিহাসে যেখানে প্রো-ইজরায়েলি দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটেছে। এই বইতে জানা যাবে একজন বিদগ্ধ ইহুদি ইতিহাসকে কীভাবে দেখেন। যারা উপরের বইগুলো পড়ে ফেলেছেন তারা এই বইটি পড়তে পারেন। উপরের ৫টি বই যারা পড়েন নি তাদের এই বইটি ও তালিকার পরের বইটি পড়তে পরামর্শ দেব না।
৭. জেরুসালেম ওয়ান সিটি থ্রি ফেইথস
লেখক: ক্যারেন আমস্ট্রং
প্রখ্যাত থিওলজিস্ট ক্যারেন আমস্ট্রং এর লেখা বই। তিনটি বিশ্ব ধর্মের জেরুজালেম কেন্দ্রিক ইতিহাস বিবরণ। একজন সেকুলার থিওলজিস্টের দৃষ্টিতে ইতিহাসের বিশ্লেষণ, যেখানে আপনি জানা ইতিহাসের ভিন্ন ন্যারেটিভ পাবেন। মূলত বোঝতে পারবেন পশ্চিমে ইহুদি ইতিহাসকে কীভাবে দেখা হচ্ছে।
৮. সিক্রেটস অব জায়োনিজম : বিশ্বব্যাপী জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্রের ভেতর-বাহির
লেখক: হেনরি ফোর্ড
বইটি “ইহুদি-বিরোধী” অভিযোগে অভিযুক্ত। লেখক কোনো প্রথাগত লেখক নন, একজন ব্যবসায়ী যিনি আমেরিকায় ব্যবসায় করতে গিয়ে সর্বক্ষেত্রে একটি গোষ্ঠীর বিশেষ নিয়ন্ত্রণকামী মানসিকতা দেখে ধারাবাহিকভাবে কলাম লিখতে শুরু করেন। তিনি ফোর্ড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ফোর্ড। এন্টি-সেমিটিক অভিযোগে বইটিকে হাওয়া করে দেয়া হয়েছিল। এটি সারাবিশ্বে আবার প্রকাশিত হচ্ছে।
৯. দ্য কিংডম অব আউটসাইডারস
লেখক: সোহেল রানা
এটা আধুনিক ইতিহাসের ভিত্তিতে লেখা, প্রাচীন ইতিহাস আছ অল্প। মূলত “ইজরায়েল” প্রতিষ্ঠা ও তার পরবর্তী ঘটনা, মোসাদের কার্যক্রম, রাজনৈতিক ঘাত-প্রতিঘাত এসবই আলোচ্য। বলা যায় বিশ্লেষণধর্মী বই।
১০. ইহুদি ও খ্রিষ্টান জাতির ইতিহাস
লেখক: ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান আজমি
ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা ইতিহাস। লেখক ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান আজমি ইহুদি ইতিহাসকে কুরআন-হাদিসের আলোকে এবং যুক্তির নিরিখে ব্যাক্ষা করেছেন। ইহুদিদের আদি নিবাস এবং উৎপত্তিস্থল থেকে ঐতিহাসিক উত্থান-পতন থেকে কীভাবে এলো আজকের ইসরাইল? সেটিও তিনি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন। খ্রিস্টান ধর্মের ইতিহাস ইহুদি ধর্মের ইতিহাসে প্রোথিত যদিও এর পর আলাদা পথ চলা। বইয়ে ইহুদি ধর্মের সাথে খ্রিস্টান ধর্মের ইতিহাস রয়েছে।
১১. টেন মিথস অ্যাবাউট ইজরাইল
লেখক: ইলান পাপ্পে
দখলদারিত্বের পঞ্চাশতম বার্ষিকীতে প্রকাশিত এই যুগান্তকারী বইটিতে, স্পষ্টভাষী ইসরায়েলি ইতিহাসবিদ ইলান পাপ্পে সমসাময়িক ইস্রায়েল রাষ্ট্রের উৎপত্তি এবং পরিচয় সম্পর্কিত সবচেয়ে বিতর্কিত ধারণাগুলি বিশ্লেষণ করেছেন।
ইসরায়েল “রাষ্ট্রের” অস্তিত্বকে যায়েজ করতে যেসব তথ্য প্রচার করা হয় সেগুলোকে তিনি খণ্ডন করেছেন, মিথ আখ্যা দিয়েছেন। যেমন বেলফোর ঘোষণার সময় ফিলিস্তিন একটি খালি ভূমি ছিল, যায়োনবাদ উপনিবেশবাদ নয়, জানোয়িজমই যুদাইজম, ফিলিস্তিনিরা স্বেচ্ছায় বাড়ি ঘর ছেড়ে গিয়েছে, ইজরায়েল মধ্য প্রাচ্যের একমাত্র গণতন্ত্র ইত্যাদি। এইসব প্রপাগান্ডা খন্ডন করে ছেন লেখক।
১২. ফিলিস্তিনের ইতিহাস
লেখক: ডা. রাগিব সারজানি
ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা এটি সবচে বিস্তৃত ইতিহাসের বই। প্রাচীণ ইতিহাস ছাড়াও মধ্যযুগের ইসলামি খিলাফত যুগের ইতিহাস বিস্তারিত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
১৩. ফিলিস্তিন ইতিহাসের চার হাজার বছর
লেখক: নূর মাসলাহা
ইসরায়েলিরা ‘প্যালেস্টাইন’ একটি আধুনিক ধারণা হিসাবে বিবেচনা ও প্রচার করে, এর পক্ষে প্রচুর “ঐতিহাসিক” যুক্তিও উপস্থাপন করে। কিন্তু, নূর মাসালহা দেখিয়েছেন, প্যালেস্টাইনের ধারণা বাইবেলের সমসামায়িক যা নথিভুক্ত ইতিহাসের শুরুতেই পাওয়া যায। যা প্রাচীন ইস্রায়েল প্রতিষ্ঠারও পূর্বের। সত্যি বলতে ওল্ড টেস্টেমেন্টও তা অস্বীকার করে না। প্রাচীন গ্রন্থে এই অঞ্চলের প্রথম দিককার রেফারেন্স দিয়ে শুরু করে, মাসলাহা কীভাবে প্যালেস্টাইন ও এর সাথে সম্পর্কিত পরিচয় হাজার হাজার বছর ধরে ব্রোঞ্জ যুগ থেকে বর্তমান দিন পর্যন্ত বিকশিত হয়েছে তা অনুসন্ধান করেছেন। ফিলিস্তিন ও ইহুদি ইতিহাস বুঝতে অবশ্যপাঠ্য বই।
তালিকার দুটো ব্যতিক্রমী বই:
১৪. বাংলায় ইহুদি সম্প্রদায়
লেখক: আপেল মাহমুদ
তালিকায় এটি ব্যতিক্রমী একটা বই। ইহুদি ধর্মালম্বীদের সাথে বাংলার যে সম্পর্ক সেটি বিবৃত করেছেন। একসময় বাংলার নিজস্ব ইহুদিও ছিল, বাংলায় যেসব বিখ্যাত ইহুদি বাস করতেন তাদের সমন্ধে তথ্য পাওয়া যাবে বইটিতে, যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি, সংসদভবনের স্থপতি ইত্যাদি। বইয়ের টপিক খুব আকষর্ণীয়, এই বিষয়ে যতটা গভীর অনুসন্ধ্যানী বই লেখা যেত লেখক সেটি করেন নি। তারপরেও একটা অবশ্যপাঠ্য বই।
১৫. শিকড়ের সন্ধানে
লেখক: হাবিবা মুবাশ্বেরা
ইসলাম ধর্মের বয়ানে প্রাচীন আব্রাহামিক নবিদের ইতিহাস, কুরআন ও হাদিসে তাদের বর্ণনা, ইহুদি ও নবিদের জীবনের ঘটনাগুলো থেকে যে শিক্ষা মানুষ নিতে পারে সেসব বর্ণনা করেছেন লেখিকা। সেই অর্থে এটি পুরোপুরি ইতিহাস বই না। তবু এই বইটি পড়তে পারেন ইসলাম ইহুদিদের ইতিহাস থেকে কী শিক্ষা নিতে বলে সেটা জানতে।