আসছে বর্ষা; নৌকা তৈরির ধুম

203
আসছে বর্ষা; নৌকা তৈরির ধুম

আসছে বর্ষা মৌসুম। পদ্মার পানি এখনো বিভিন্ন অঞ্চলে না ঢুকলেও নৌকা তৈরির ধুম শুরু হয়েছে। ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বালেঙ্গা, রাজাপুর, চারাখালী, ঘোষাইল, আর-ঘোষাইল, কঠুরী, আশয়পুর, রায়পুর, পানিকাউর, তিতপালদিয়া ও কল্যাণশ্রী গ্রামের মানুষের বর্ষার দিনের একমাত্র বাহন।

বর্ষায় এ পারের বেড়িবাঁধের প্রায় ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়। তখন প্রত্যেকটি পরিবারের বাহন হিসেবে ব্যবহার করা হয় নৌকা। বর্ষার শুরুতেই বেড়িবাঁধে মৌসুমি নৌকা তৈরির কারখনা করেছেন গৌর মৌজুমদার। ১০-১১ জন কাঠ মিস্ত্রি দ্বারা কাজ করে প্রতিদিন ৫-৬টা নৌকা তৈরি করে ঢাকা ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাটে বিক্রয় করেন। মিস্ত্রিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি নৌকার ৫-৬ সিএফটি কাঠ লাগে। একসিএফটি কাঠের দাম ৩০০ টাকা। একজন মিস্ত্রীর রোজ ৫০০ টাকা। ২ জন মিস্ত্রি দৈনিক একটি নৌকা বানাতে পারেন। প্রতিদিন গড়ে ৫-৬ নৌকা তৈরি হয়।

দোহার, নবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে কড়ই, চাম্বলসহ বিভিন্ন জাতের গাছ কিনে এসব নৌকা বানানোর কাজ করেন গৌরাঙ্গ মজুমদার। সপ্তাহব্যাপী নৌকা তৈরি করে দোহার-নবাবগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের সাপ্তাহিক হাটগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে থাকেন। প্রত্যেকটি (ছোট) নৌকা তৈরিতে তাদের ২৮০০-৩০০০ টাকা খরচ হয়। তারা প্রতিটি নৌকা ৩৫০০-৪০০০ টাকা বিক্রি করেন।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত

জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ মিস্ত্রি জানান,বর্ষার দিনে নৌকা পরিবারের চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার প্রভৃতি স্থানে যাতায়াতের জন্য নৌকার ব্যবহার করে থাকি। বর্ষার শুরুর দিকে নৌকার দাম কিছুটা কম থাকলেও বর্ষাও মাঝামাঝিতে নৌকার দাম রেড়ে যায়।

গৌর মৌজুমদার, সুজন, লিটন মিস্ত্রি, জানান, কেউ কেউ নৌকা পাইকারি দরে কিনে বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করে থাকেন।

আপনার মতামত দিন