আমি পরীক্ষিত, তাই নেতা-কর্মীরা আমাকেই পছন্দ করে – উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন

350

মোঃ আল-আমিন, স্টাফ রিপোর্টার, news39.net: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। প্রায় দুই দশকের প্রতীক্ষার অবসান শেষে ঢাকার দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের ৫ম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এ সম্মেলন ও কমিটি গঠনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। সভাপতি পদে এককপ্রার্থী হিসেবে আছেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, দোহার প্রেসক্লাবের উপদ্বেষ্টা ও দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন।

news39.net এর সাথে ৫ম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিল নিয়ে একান্ত আলাপচারিতা করেছেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলাপচারিতায় ছিলেন স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আল-আমিন।

মোঃ আল-আমিনঃ একক প্রার্থী হিসেবে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হচ্ছেন সেক্ষেত্রে আপনার অনুভূতি?

আলমগীর হোসেনঃ আমি দীর্ঘদিন রাজনীতিতে মাঠে আছি। সেশন জটের কারনে, নাহলে আমি আরো আগেই কাংখিত পোস্ট যেটা সেটা পাইতাম। কিন্ত আমি আমার কাংখিত পোষ্ট এখনো পাই নাই। আমার বয়স এখন প্রায় ৬০/৬১ বছর। আমি ১৯৮৪ সালে এমএসসসি করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।  ৮০’র দশকে আমি কবি নজরুল কলেজে প্রথম ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলাম।  সে হিসেবে আমার কোন বড় রকমের অনুভূতি নাই কারণ এতোদিনে আমি হয়তো আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারতাম। তবে মাঠ পর্যায়ে যেহেতু আছি , তাই আশা করি মাঠের যেসব ছেলেমেয়েরা আমাদের সাথে পলিটিক্স করে তাদেরকে নিয়ে সুন্দর কমিটি চলে আসবে। যাতে নতুন ও সঠিক নেতৃত্ব আসতে পারে এবং মেধার বিকাশটা ঘটে।

অন্য খবর  কার্তিকপুর বাজার থেকে মোবাইল চুরি, চিরকুট লিখে ক্ষমা প্রার্থনা

মোঃ আল-আমিনঃ সভাপতি হিসেবে আপনি একক প্রার্থী । সেক্ষেত্রে আপনার সাথে কেউ প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছে না কেন?

আলমগীর হোসেনঃ অনেকগুলি কারণ হতে পারে। আমার দলীয় নেতা কর্মিরা আমার প্রতি আশ্বস্ত যে আমি যদি নেতৃত্ব দেই আমি সঠিক পথেই পরিচালিত করবো ইনশাল্লাহ। আমি পরিক্ষিত, নেতা-কর্মিরা তাই সভাপতি হিসেবে হিসেবে আমাকেই পছন্দ করে । আমি মেধা, প্রজ্ঞা ও সাংগাঠনিক শক্তি দিয়ে দলকে পরিচালিত করি এটা পরীক্ষিত, আর দলীয় নেতা কর্মিরা মনে করছে এটাই সঠিক নেতৃত্ব।

মোঃ আল-আমিনঃ আপনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাকে চান?

আলমগীর হোসেনঃ আসলে আমার চাওয়ার কোন বিষয় না। আমাদের যারা নেতৃবৃন্দ আছেন গঠনতন্ত্র মোতাবেক কাউন্সিলররা যাকে বানাবেন এবং আমাদের এমপি সাহেব আছেন সবাই মিলে যে আসে তার সাথেই আমি কাজ করতে পারবো।

মোঃ আল-আমিনঃ কেউ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে, অন্যদের মধ্যে কোন দূরত্ব/মনমালিন্য হবে কিনা?

আলমগীর হোসেনঃ না। কোন দূরত্ব/মনমালিন্য তৈরি হবে না। প্রতিযোগিতা থাকবেই। আমরা সবাই দলকে সংগঠিত করার জন্য একসাথে কাজ করবো।

মোঃ আল-আমিনঃ আপনি দলকে ভবিষ্যতে আরো কিভাবে দলকে সংগঠিত করবেন?

অন্য খবর  সোনিয়া গান্ধির অনুদানে দোহার-নবাবগঞ্জে মন্দির ভিত্তিক পাঠদান

আলমগীর হোসেনঃ আমি এটা যুগোপযোগী হিসেবে সাজাতে চাই। যে সমস্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা রাজনৈতিক সেশন জটের কারনে ঠিকভাবে পলিটিক্স করতে পারছে না, তাদেরকে আমি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত করবো এবং নতুন পুরাতনদের সমন্বয় গঠিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি উপহার দেবো। যাতে আগামীর রাজনীতি আমরা সঠিক ভাবে করতে পারি।

মোঃ আল-আমিনঃ আগামীতে বিএনপি/ বিরোধী দল কে কি ভাবে মোকাবিলা করবেন?

আলমগীর হোসেনঃ আমরা রাজনীতি রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করবো।

আপনার মতামত দিন