আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে নাজমুল হুদাকে

431
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা - ফাইল ফটো

স্টাফ রিপোর্টারঃ অবশেষে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে। সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ না করেই আপিল বিভাগে যে আবেদন করেছিলেন তাতে সাড়া দেননি সর্বোচ্চ আদালত। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগ গতকাল নাজমুল হুদার আবেদনটি ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে তা খারিজ করে দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে নাজমুল হুদা নিজেই শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতেই হবে বলে জানান খুরশিদ আলম খান। তিনি জানান, এই মামলায় গত ৮ই নভেম্বর হাইকোর্ট এক রায়ে নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে চার বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন।
একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু নাজমুল হুদা আত্মসমর্পণ না করেই আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। খুরশিদ আলম খান বলেন, আজ (গতকাল) নাজমুল হুদার আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে তা খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এখন হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতেই হবে। মামলার বিবরণে জানা যায়, একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার জন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২১শে মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। পরে ২০০৭ সালের ২৭শে আগস্ট বিশেষ জজ আদালত এক রায়ে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেন। আর তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা হাইকোর্টে আপিল করলে শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০শে মার্চ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এক রায়ে হুদা দম্পতিকে খালাস দেয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করলে শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১লা ডিসেম্বর এক রায়ে নাজমুল হুদার খালাসের রায় বাতিল করে মামলাটির পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।

আপনার মতামত দিন