দোহার-নবাবগঞ্জে চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুভার্ব

356

স্টাফ রিপোর্টার, নিউজ ৩৯ : দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় দেখা দিয়েছে মশা বাহিত চিকুনগুনিয়া রোগের উপস্থিতি। দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার এ পর্যন্ত ১০ জন এ রোগের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এডিস মশা বাহিত এ রোগ সর্ব প্রথম ধরা পড়ে ২০০৮ সালে। নতুন রোগ হওয়ায় দেশের চিবিৎসকরা আগে থেকে অবহিত না হবার কারনে এর যথাযথ চিকিৎসা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক(রোগ নিয়ত্রন) অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলেন চিকুনগুনিয়া রোগটা অনেকটা ডেঙ্গুর মতো। আবার রোগটি পরীক্ষার সময় ডেঙ্গু ধরা না পরার কারনে অন্য চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য এই মাসের শুরুর দিকে দোহারে সর্ব প্রথম এই রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। জানা গেছে এই মধ্যে ৫২ জনের রক্ত পরীক্ষা করে ৩২ জনের রক্তে চিকুনগুনিয়া রোগের ভাইরাস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দোহার-নবাবগঞ্জের দশ জন রয়েছে।

দক্ষিন এশিয়াতে এ রোগের ব্যাপক বিস্তার থাকলেও বাংলাদেশে এর বিস্তার খুবই কম। আমাদের পাশের দেশ ভারতে এর রয়েছে ব্যাপক বিস্তার। বিশেষ করে মহারাস্ট্র, গুজরাট, কর্নাটকের প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশে এ রোগ প্রথম ধরা পড়ে ২০০৮ সালে চাপাই-নবাবগঞ্জে। আর চলতি মাসে এ রোগে আক্রান্ত রোগী প্রথম পাওয়া যায় দোহারে।

অন্য খবর  জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলাবোরেটিভ অধ্যাপক হলেন দোহারের কবিরুল বাশার

দোহারে এ রোগ ধরা পড়ার ফলে সবার মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ। এই রোগের বিস্তারের কারন হিসাবে তারা মনে করছেন দোহার পৌরসভা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতিকে। এবার দোহার পৌরসভার বাজেট ঘোষনায় মশক ও কুকুর নিধরের জন্য কোন বরাদ্দ রাথা হয়নি।এই নিয়ে নিউজ৩৯ রির্পোট করলেও তারা ব্যাপারটাকে আমলে নেয় নি। এর মদ্যে গত কয়েকদিন আগে কুকুরের কামড়ে প্রায় ৫০ জন লোক আহত হয়। আর এবার দোহার থেকে পাওয়া গেল চিকুনগুনিয়া রোগের ভাইরাস। তারপরও কোন বোধদয় হয়নি এ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের।

আপনার মতামত দিন