নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের মাশাইল গ্রামে মসজিদের কমিটি নিয়ে গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে বসত বাড়িতে হামলা ভাংচুর এবং মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মাশাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লতিফ ডিলার দীর্ঘ ১০ বছর যাবত মাশাইল বড় মসজিদের সভাপতি থেকে প্রায় ১০/১২ লাখ টাকার হিসাব দিতে পারেননি এবং মসজিদের ১৩ শতাংশ জমি জবর দখল করে রেখেছেন। পরে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে লতিফ ডিলার কে সভাপতি পদ থেকে বাদ দিয়ে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার শামিরুল কে সভাপতি করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ।
এ ঘটনার লতিফ ডিলার এবং তার ৬ ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের ৭ বাড়িতে হামলা চালায় এবং বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে মহিলা ও শিশুসহ ৫ জনকে মেরে আহত করে।
মাশাইল গ্রামের গৃহবধু মমতাজ বেগম বলেন, লতিফ ডিলারে ৬ ছেলে মজিবর,লিপু, জাফর, সালেম, জাকির, শাবালী, লুতফরসহ আরো ২৫/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে আলমারিতে থাকা নগদ ১ লাখ টাকা লুটে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে আমার শিশু সন্তান সুমন (১০) কে তারা মেরে আহত করে। এরা গ্রামের সন্ত্রাসী আমি ওদের বিচার চাই।
সালেহা বেগম, রুসুল খা, হোসেন খান,আয়ুব খানসহ আরো ৫/৬টি পরিবারের একই অভিযোগ করেন। লতিফ ডিলারের বড় ছেলে মজিবর রহমান ঘটনাটি অস্বীকার করেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি তবে আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।