জাকির হোসেন, নিউজ ৩৯ ♦ সাম্প্রতিক সময়ে একটু উদ্ভট দেখতে রিক্সার মতো একটি যান রাস্তায় বিকট শব্দ করে চলাচল করছে। দোহারে বেশ কয়েক মাস যাবৎ এটি দেখা যাচ্ছে, প্রথম দিকে খুব কম হলেও বর্তমানে এর সংখ্যা ব্যাপক।
গঠন রিক্সার মতোই, মোটা চাকা ও ‘টু-স্ট্রোক’ এঞ্জিন লাগিয়ে তৈরী করা হয়েছে এই যানবাহন। এর যাত্রী ধারণক্ষমতা রিক্সার থেকে বেশি। বর্তমানে এই বাহন দোহার ও নবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌছে গেছে।
যন্ত্রচালিত এই রিক্সাগুলো রাস্তা চলে বেপরেওয়া গতিতে, এবং রিক্সার ব্রেকিং সিস্টেম অত্যন্ত দূর্বল, জরুরী সময়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এর ফলে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। এই ধরণের যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে পথচারীদের চলাচলের ঝুকি।
এছাড়া এই বাহনগুলো পরিবেশের জন্যেও ক্ষতিকর। টু-স্ট্রোক এনঞ্জিন হওয়ায় এই রিক্সাগুলো তেল পোড়ায় বেশি, এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন করে বেশি। ফলে এটি দুই ভাবে ক্ষতি করছে, একদিকে জ্বালানীতেলের অপচয় হচ্ছে, পাশাপাশি বাড়াচ্ছে পরিবেশ দূষণ।
একই ধরণের এঞ্জিনচালিত আর একটি বাহন আছে যার নাম ‘ভটভটি নসিমন’। ঢাকা সহ সারাদেশে ‘টু-স্ট্রোক’ এঞ্জিনচালিত যানবাহন নিষিদ্ধ। কিন্তু দোহার, নবাবগঞ্জে এই নিষধাজ্ঞা অমান্য করেই এই টু-স্ট্রোক বাহন তৈরী করা হচ্ছে।
এই যানবাহনগুলো চলছে প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়েই। এবং নিয়ন্ত্রণহীন এই বাহনগুলো নিয়মিতই ঘটিয়ে চলছে দূর্ঘটনা। তবু এগুলো বন্ধে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
উল্লেখ্য এই বাহনগুলোর কোনো রোড পারমিট নেই; এগুলোর রাস্তায় চলাচলের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।