নিউজ৩৯♦ ঢাকার অদূরে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। গত এক মাসে এ দুই উপজেলার সীমানা লাগোয়া পদ্মা বাইপাস সড়কে অর্ধশতাধিক ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহনের গতিরোধ করে ছিনতাই ও ডাকাতি করে যাচ্ছে। এতে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশ নিষ্ক্রিয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নবাবগঞ্জ ও দোহার থানা পুলিশের টহল না থাকার কারণে ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত এক বছরে ছিনতাইকারীর হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
সূত্র জানায়, দোহার-নবাবগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা পদ্মা বাইপাস সড়কের মাধ্যমে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ কেনাকাটার জন্য গালিমপুর হাটবাজারে আসে। আসা-যাওয়ার পথে সড়কের পাইকসা লোহার ব্রিজের সামনে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন সাধারণ মানুষ। এ সময় তারা টাকা-পয়সা লুটে নেয়। অনেক সময় ছিনতাইকারীর হামলায় সাধারণ মানুষের জীবন পর্যন্ত চলে যায়। কিন্তু পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। এদিকে ছিনতাইয়ের শিকার সাধারণ মানুষ থানায় অভিযোগ করতে গেলে নানা বিড়ম্বনায় পড়ে।
ছিনতাইয়ের শিকার দোহার উপজেলার মালিকান্দা গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন মিয়া বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিকালে গালিমপুর থেকে দোহার ফেরার পথে পাইকসায় তিন ছিনতাইকারী পথ রোধ করে টাকা, সেলফোন কেড়ে নেন। এ সময় তারা আমার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে কোনোমতে পালিয়ে বেঁচে যাই। তারা আমার পিঠে ও পায়ে আঘাত করে।’
নবাবগঞ্জ উপজেলার সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আতিয়ার জানান, গত রোববার সন্ধ্যার সময় পাইকসায় দুই ছিনতাইকারী গতিরোধ করে তার অটোরিকশা নিয়ে যায়। পরে সাভার থেকে তা উদ্ধার করা হয়।’
দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হক বলেন, প্রতিদিনই বাইপাস সড়কের পাইকসায় এসব ঘটনা ঘটছে। সড়কের জালালপুরে পুলিশের টহল রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘ছিনতাইয়ের বিষয়টি আমি জানি। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে নবাবগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়নের পুরো নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।’