ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় এক রাতে তিন স্থানে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এতে ডাকাতের হামলায় মো. সালাউদ্দিন, হালিমা বেগম, মেহের আলী, দিলিপ চন্দ্র মণ্ডল এবং পল্লী চিকিৎসক মজিবর রহমান নামে ৫ জন আহত হন।
শনিবার রাতে উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের খতিয়া গ্রামে রাত ৩টার দিকে সালাউদ্দিনের বাড়িতে ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হানা দিয়ে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ১০ ভরি রুপা এবং আলমারিতে থাকা নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রীকে মারধর করে গুরুতর আহত করে ডাকাতরা।
একই রাতে উপজেলার শোল্লা এলাকায় মেহের আলীর বাড়িতে হানা দেয় ডাকাত দল। তাদের বাড়িতে থাকা ২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা ফেরার পথে মেহের আলীকে পিটিয়ে আহত করে।
অপরদিকে উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আজগড়া গ্রামের দিলিপ চন্দ্র মণ্ডল এবং পল্লী চিকিৎসক মজিবর রহমান মোটরসাইকেলে শনিবার রাত দেড়টার দিকে হরিষকুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ভাওয়ালিয়া সড়কের দুই সেতুর মাঝখানে পৌঁছলে রাস্তায় নৌকা ফেলা দেখে গাড়ি থামায়। এ সময় ডাকাত দল তাদের কুপিয়ে জখম করে এবং তাদের কাছে থাকা নগদ টাকাসহ ২টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। তাদের চিকিৎসা দিতে একজনকে ঢাকা ও অপরজনকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।