নবাবগঞ্জের জেলা পরিষদের মার্কেটের দোকান এক বছরেও বুঝে পাননি ব্যবসায়ীরা

214

ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা দৌলার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার এক বছরেও চালু হয়নি নবাবগঞ্জ মার্কেট। অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে দোকান নিলেও ব্যবসায়ীরা এখন নিরুপায়। জেলা পরিষদের কর্তাব্যক্তিদের কাছে জিম্মি বললেও ভুল বলা হবে না। তাদের অভিযোগ, প্রকৌশলীরা কাজ শেষে দোকান বুঝিয়ে দিতে চাইলেও জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা দৌলা রীতিমতো হয়রানি করছেন। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরে ডাকবাংলো পুকুর ভরাট করে দ্বিতল মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। যার কাজ শেষ হয় ২০১৩ সালের শেষের দিকে। এ মার্কেটে ২০২টি দোকান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও বিনিয়োগকারীরা দোকান বুঝে পাননি।

অভিযোগ রয়েছে, জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এ মার্কেটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির নেতারাও একাধিক দোকান বাগিয়ে নিয়েছেন। এ তালিকায় প্রভাবশালীদের প্রত্যেকের নামে-বেনামে ১০-১২টি করে দোকান রয়েছে। এসব দোকান বরাদ্দ দেয়ার সময় জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একটি সিন্ডিকেট দোকানপ্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকা করে ঘুষ আদায় করেন। কিন্তু এভাবে বাড়তি পয়সা দেয়ার পরও এক বছরেও দোকান বুঝে না পাওয়ায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ-অসন্তোষ বাড়ছে।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জ ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাজা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরাদ্দ পাওয়া কয়েকজন দোকান মালিক বলেন, দোকান বরাদ্দ পেতে গোপন ঘুষ ছাড়াও ২-৩ বছর আগে তারা দোকানপ্রতি ৫-৭ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রচলিত সব ধরনের নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়। কিন্তু মার্কেটটি চালু করার জন্য প্রস্তুত হলেও তারা দোকান বরাদ্দ বুঝে পাননি। এর কারণ জানতে চাইলে জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রশাসক হাসিনা দৌলা না বলা পর্যন্ত কোনো দোকান হস্তান্তর করা হবে না। ৮৮নং দোকানের মালিক সাহিদুল হক খান ডাবলু জানান, দোকান বরাদ্দের টাকা পরিশোধ করলেও তিন বছর পর এখন ভ্যাট ও ট্যাক্সের কথা বলে দোকানপ্রতি অতিরিক্ত ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে। ফলে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা নেমে এসেছে। কেউ কেউ দোকান চালু করার জন্য যে পুঁজি সংগ্রহ করেছিলেন তাও ভেঙে ফেলার অবস্থা তৈরি হয়েছে।

আপনার মতামত দিন