প্রাক্তন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের বিরুদ্ধে ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি পদদলিত’ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। নির্ধারিত দিনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(সিজেএম) শিরিন আক্তার সোমবার নতুন এ দিন ধার্য করেন।
১৬ ডিসেম্বর ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয় দিবস উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আব্দুল মান্নান খানের নাম ঘোষণা না করায় তার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন বেআইনিভাবে সমাবেশে লাঠিসোটা, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা করে এবং মঞ্চে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত ব্যানার ছিড়ে পদদলিত করে। এ সময় বাধা দিলে আসামিরা বাদীকে মারধর করে এবং হাতঘড়ি ও চেইন ছিনিয়ে নেয়।
আব্দুল মান্নান খানের সন্ত্রাসী বাহিনী বাদী কে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এরপর ওই সন্ত্রাসী বাহিনী বাদীকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
পরে ঘটনাস্থলে আসামিরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে এবং বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে।
মান্নান খানসহ অন্য আসামিরা সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের উপস্থিতিতে দোহার থানার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুল কবির ভূঁইয়াকে অপমান ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়।
বাদীসহ সাক্ষীরা এ সময় বাধা দিতে গেলে আব্দুল মান্নান খান তাদের হত্যার হুমকি দেয় এবং এ বিষয়ে কোনো প্রকার মামলা করতে গেলে বাদীকে মেরে ফেলবে।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার নিপুর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।