ঢাকা-নবাবগঞ্জ-দোহার সড়কের সংস্কারকাজ অজ্ঞাত কারণে ঝুলে আছে। জানুয়ারি মাসের শুরুতে এ সড়কের খারশুর বেনুখালি থেকে বর্ধনপাড়া পর্যন্ত ৭ কিমি. ও দোহারের নারিশা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিমি. সড়ক কামাল অ্যাসোসিয়েটস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়ে সংস্কার শুরু করে। নিম্নমানের কাজ করায় এলাকার লোকজন এ কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ অবস্থায় দু-তিন দিন কাজ করেই তা বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তবে কি কারণে কাজ শুরু হয়েই বন্ধ হয়ে গেল তা বলতে পারছে না সওজ কর্তৃপক্ষ।
মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের সড়ক ও জনপথের একজন কর্মকর্তা বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কয়েকজন কর্মকর্তা বদলি হয়ে গেছেন। কেন কাজ বন্ধ তা জানি না।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী খায়রুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে কাজের মালামাল আনতে পারছে না। তাই সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে, তবে শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কের খারশুর বেনুখালি থেকে বর্ধনপাড়া পর্যন্ত ৭ কিমি. রাস্তায় পিচ ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। গর্ত আর খানা-খন্দে ভরা। গাড়ি চলছে ঝুঁকি নিয়ে। ধীরগতিতে গাড়ি চলায় রাতের বেলা এ সড়কে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসে অহরহ চুরি-ডাকাতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সওজ মাঝে মাঝে লোক দেখানো সংস্কার করলেও কয়েকদিন পর আবার আগের অবস্থা তৈরি হয়। ফলে জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে একই অবস্থা দোহারের নারিশা থেকে শ্রীনগরের বাঘরা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিমি. সড়কে। দীর্ঘদিন কোনো কাজ না হওয়ায় বেহাল দশা হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, ঈদের আগে জরুরি কাজের অংশ হিসেবে কিছু সংস্কার করা হলেও এখন কাজ থেমে আছে। দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার প্রয়োজন। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটির এ অবস্থা দোহারের প্রায় ৩ লাখ লোকের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কামাল অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবসায়ী অংশীদার মোরশেদ জানান, সিলেট থেকে পাথর আনার সময় তাদের একটি গাড়ি ভাংচুর করেছে অবরোধকারীরা। ফলে সড়কপথে মালামাল বহন করা যাচ্ছে না। তাই নদীপথে পাথর এনে দ্রুত কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: দোহার কি ঢাকা জেলার ছিটমহল??