নবাবগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

304

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মূল ঘটনা এড়িয়ে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধে গাড়ি পোড়ানো মামলায় আসামি দেখিয়ে ৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী উচ্চবিদ্যালয়ে বার্ষিক মিলাদ মাহফিলে উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. হাবিবুল্লাকে অতিথি করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্কুল কমিটির সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয় কমিটির সদস্য আ. কুদুস ভূঁইয়া (৫৩), ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ (৪৫), মো. আলমগীর হোসেন (৪৫), মো. শাহিন (৪৪) ও আরিফুর রহমান শ্যামলকে (৪৫) আটক করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। কিন্তু আটকদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো মামলা না দিয়ে অবরোধে গাড়ি পোড়ানোর মামলা দিয়ে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ । 

আটক আ. কুদুস ভূঁইয়ার ছোট ভাই আরজু ভূঁইয়া বলেন, আমার ভাইয়েরা কোনো দল করে না। এলাকার কিছু বখাটে মাদক বিক্রি করে। মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় তারা শত্রুতা করে পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদের বড় ভাই মো. হাসান বলেন, আমার ভাই কোনো রাজনীতি করে না। প্রতিহিংসাবশত তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, আসামিদের বাড়ি থেকে বাস পোড়ানোর স্থানটি প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে। 

অন্য খবর  শুন্য উপজেলা চেয়ারম্যান পদ: আবারো কি জনসমর্থনহীন প্রার্থীর দিকে বিএনপি

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি সকাল ১১টায় বারুয়াখালী উচ্চবিদ্যালয়ে বার্ষিক মিলাদ মাহফিলে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠানে বাধা দিতে গেলে কমিটি ও শিক্ষকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আটকদের বিএনপি নবাবগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ওসমানির বাস পোড়ানো মামলায় আসামি দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। গত ১৪ জানুয়ারি আগলা এলাকায় রাতে ওই বাসটি পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, বাস পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে তাদের এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় আরও একটি মামলা হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন