আসাদ সবুজ, নিউজ৩৯.নেট ♦ এসএসসির পরীক্ষার ফরম পূরণে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ইচ্ছামতো টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দোহার-নবাবগঞ্জ দুই উপজেলার প্রায় সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি। যদিও শিক্ষকরা বলছেন বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজ ও পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত পড়ানোর জন্যই এ অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দোহার ও নবাবগঞ্জ থানার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে এ অর্থ আদায় করছে। এব্যাপারে মালিকান্দা স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নিউজ৩৯ কে জানান, এবছর মানবিক বিভাগে ৪২০০ টাকা, ব্যবসায় শাখায় ৪৫০০ টাকা ও বিজ্ঞান শাখায় ৫০০০ টাকা করে নিচ্ছে । উল্লেখ্য সরকার নির্ধারিত ফি ১৫৪৯ টাকা।
মধুরখোলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক মনিরুল ইসলাম বলেন, কোচিং এর নাম করে ১৫০০ টাকা আদায় করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিন্তু এ টাকার নির্দিষ্ট কোনো রশিদ দিচ্ছে না।
জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক জিয়াসমিন আক্তার বলেন, প্রত্যেক বছর দোহার থানার বিদ্যালয়গুলো পরীক্ষার সময় এক প্রতিযোগীতায় নামে। তারা মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীদেরকেও বিভিন্ন অর্থের মাধ্যমে পরীক্ষার সুযোগ দিচ্ছে। এই অবস্থায় একদিকে মেধাবীদের সাথে পাল্লা দিয়ে পড়াশুনা করতে গিয়ে মেধাবীরা সঠিক শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। অপরদিকে প্রতি বছর পরীক্ষা ফেলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দোহার ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে , প্রত্যেক বিদ্যালয় নির্বাচনী পরীক্ষায় দুই বা ততোধিক বিষয়ের জন্য ন্যূনতম ৫০০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ১৫,০০০ টাকা জামানত বাবদ আদায় করছে। কিন্তু পরীক্ষায় পাশ করার পর সকল অর্থ ফেরত না দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন অনেকেই। অভিভাবকরা বলেন, তাদের সন্তান পরীক্ষায় পাশ করলেও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফি কিংবা শিক্ষকদের মিষ্টি মুখ করানোর নামে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ রেখে দিচ্ছে তারা ।