ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের দুটি গ্রামের ৫০ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের পশ্চিম চর ও মেঘুলা গ্রামের ৫০ পরিবার ১০ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
ফ্রিজে রক্ষিত খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ও অন্ধকারে জীবনযাপন করছে এসব পরিবার। তা ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় চুরি-ডাকাতির আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি স্থানীয় নারিশা বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে জানানো হলেও তারা এ বিষয়ে কর্ণপাত করে নি। পরে দোহার জোনাল অফিসে জানালেও তারা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয় নি।
মেঘুলা গ্রামের মো. মোস্তফা জানান, কর্মব্যস্ততার কারণে প্রতিদিন বাজারে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই খাদ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে মাছ, মাংস, সবজিসহ খাদ্যদ্রব্য ফ্রিজে রাখা ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় সব নষ্ট হয়ে গেছে।
নারিশা গ্রামের সিরাজ মাদবর জানান, ‘রাত হলেই গ্রামজুড়ে অন্ধকার ভুতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এলাকায় চোর-ডাকাতের আক্রমণের আশঙ্কায় আমরা আতঙ্কিত। বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কবে বিদ্যুৎ আসবে তাও জানতে পারছি না।’
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২-এর দোহার জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুল লতিফ জানান, নদীভাঙনের কারণে এ এলাকায় সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। নদীভাঙন কমলে সংযোগ দেয়া হবে। তবে মাসখানেক সময় লাগতে পারে।