ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে কনেকে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে কনের সাবেক প্রেমিক। এসময় হামলায় কনেসহ ১২ জন আহত হয়।
১৫ মে বৃহস্পতিবার রাতে নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আবদানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর পরে শুক্রবার পুলিশ পাহারায় বিয়ে সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আবদানি গ্রামের আনছের আলীর মেয়ে শিরিন আক্তারের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিলো। এ সময় স্থানীয় খোকন ভূইয়ার নেত্বতে কিরণ ভূইয়া, শাহিন মন্ডল, হান্নান, বাবুল, আলমগীরসহ ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আনছের আলীর বাড়িতে হামলা করে কনেকে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা কনেসহ ১২ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
আহতদের মধ্যে ৪ জনকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ও গুরুতর আরো ৩ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে হামলাকারী খোকন ভূইয়ার সাথে ফেনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওই মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো। হলুদের রাতে মেয়ের বাবা তাকে ডেকে নেয়। তবে তারা কোন হামলা করে নি বলে দাবী করে।
আনছের আলী অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীরা তার বাসায় হামলা করে লুটপাটও চালায়। এসময় নগদ টাকা স্বর্ণলংকারসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সায়েদুর রহমান জানায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিলো। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।