সেন্ট ইউফ্রেজিসে পুরস্কার বিতরণীতে সালমা ইসলাম ও আবু আশফাক

371

সেন্ট ইউফ্রেজিস বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষা মেলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক বলেন, “নবাবগঞ্জের উন্নয়নে দল-মত নির্বিশেষে আমরা এক সাথে কাজ করব। গত ৫ বছর চেয়ারম্যান হলেও এমপির সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে যাই নি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এলাকার এমপি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের সঙ্গে কয়েকটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আমার বিশ্বাস জন্মেছে আমাদের বর্তমান এমপি এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবেন। এলাকায় ইতিমধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আমরা সবাই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তাকে সহযোগিতা করব।”

সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, সালমা ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করে এখনও স্বাধীনতার স্বাদ পাননি। প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই-সংগ্রাম করে দেশে কিছু শিল্পপতি হয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শিল্প খাত বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের উন্নয়নের কাণ্ডারি ও আধুনিকতার রূপকার। তার ৯ বছরের শাসনামলে যত উন্নয়ন হয়েছে তার অর্ধেক উন্নয়ন হয়নি গত ২৪ বছরে। সেই উন্নয়নের ধারা আমি এলাকায় ফিরিয়ে আনতে চাই।আমি সেবা দিয়ে নবাবগঞ্জ ও দোহারবাসীর ঋণ শোধ করবো। অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, শিক্ষা সাংস্কৃতির বিকাশ ঘটিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির নতুন বাংলাদেশ গড়ব। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এরশাদের বিকল্প নেই। মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা সেন্ট ইউফ্রেজিস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষা মেলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্য খবর  আমরা সবাই দোহারের উন্নয়নের অংশীদার: আলমগীর হোসেন

আরএনডিএম ধর্মসংঘের এডুকেশন কো-অর্ডিনেটর সি কার্মেল রিবেরুর সভাপতিত্বে এবং শিক্ষিকা রানু সিসিলিয়া গমেজের কর্মজীবনের রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি এলাকার উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা বিপুল সমর্থন দিয়ে নির্বাচিত করে আমাকে ঋণী করেছেন। আপনাদের ঋণ শোধ করার মতো নয়। তবে এলাকার উন্নয়ন করে কিছুটা হলেও আমার দায়বদ্ধতার পরিচয় দিতে চাই। দোহার নবাবগঞ্জের আনাচে-কানাচে গিয়ে অসহায় ও দুস্থদের সেবা করে যাব। এছাড়া রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ আমার নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। উন্নয়নের ধারাকে সুসংগঠিত করতে দলমত নির্বিশেষে তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।সালমা ইসলাম আরও বলেন- আপনাদের সন্তান, যমুনা গ্র“পের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম শিকারীপাড়া থেকে শুরু করে ১৪টি ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তার একক প্রচেষ্টায় অবদান রেখে চলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমি তার সহধর্মিণী হয়ে দীর্ঘ ৫ বছর আপনাদের পাশে থেকে দোহার-নবাবগঞ্জে নাগরিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে ব্রতী হয়েছি। আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করার দায়িত্ব ও কর্তব্যই আমাকে প্রেরণা জোগাচ্ছে। আপনাদের সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেলেই আমি ইনশাআল্লাহ সফল হব।

অন্য খবর  নারিশা ইউনিয়ন থেকে ইউপি নির্বাচন করতে চান আলমগীর হোসেন

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বান্দুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিল্লাল মিয়া, খন্দকার আবু শফিক মাসুদ, জর্জ রোজারিও, মোঃ হাবিবুর রহমান পান্নু, ডাঃ শ্যামলাল পাল, মোঃ শাহআলম মিয়া, সেন্ট ইউফ্রেজিস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সি মার্গারেট গমেজ, জাতীয় পার্টি নেতা ও চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আহম্মেদ, মোঃ খলিলুর রহমান, আবদুল মান্নান মাস্টার, মোঃ শাহজাহান মোঃ জাকির হোসেন, রনি আহম্মেদ, লতা গমেজসহ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।এরপর সোমবার রাতে বান্দুরা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উপস্থিত হয়ে সালমা ইসলাম এমপি তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

আপনার মতামত দিন