জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ হবে ৩১ ডিসেম্বর

25
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ হবে ৩১ ডিসেম্বর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৩১ ডিসেম্বরজুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রপ্রকাশ করবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ওইদিন বেলা ৩টায় ঘোষণাপত্রটি পাঠের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে গতকাল রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ওইদিন বেলা ৩টায় ঘোষণাপত্রটি পাঠের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে গতকাল রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন।

নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর “প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন” ঘোষণা করা হবে। এটি গণ-অভ্যুত্থানের একটি দালিলিক প্রমাণ। কোটা আন্দোলন থেকে কীভাবে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, কেন মানুষ জীবন দিয়েছে সবকিছু উঠে আসবে তাতে। এছাড়া প্রোক্লেমেশন অব রিপাবলিকও ঘোষণা করা হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ও সমর্থকরা গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই ৩১ ডিসেম্বরের এ আয়োজন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা শুরু করেছেন। ‘নাউ অর নেভার (এখন নয়তো কখনো নয়)’ স্লোগান লিখে পোস্ট দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী অনেকেই।

অন্য খবর  ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আর নেই

এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘৩১ ডিসেম্বর, শহীদ মিনার। ৩৬ জুলাই এসে মিলিত হোক ৩১ ডিসেম্বরে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘কমরেডস, ৩১ ডিসেম্বর! নাউ অর নেভার।’ অপর এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এটা মুজিববাদের কবরের ঘোষণা।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘জুলাইতে আমরা খুনি হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমাদের আন্দোলনে সে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে পতিত স্বৈরাচার এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সুতরাং এ আন্দোলনকে সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিকভাবে লেজিটিমেসি দিতে প্রোক্লেমেশনের দরকার, যাতে পতিত স্বৈরাচার চব্বিশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ না পায়। এছাড়া রাজনৈতিক পালাবদলে চব্বিশকে অস্বীকার করে বিপ্লবীদের যাতে হয়রানি না করতে পারে সেজন্যও প্রোক্লেমেশন জরুরি।’

আপনার মতামত দিন