ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকল জনসাধারণের করণীয়ঃ
ডেঙ্গু কী:
ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জ্বর। এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাসের একমাত্র বাহক। এ মশার কামড়ে ডেঙ্গু ছড়ায়। এডিস মশা দিনের বেলায়, সাধারণত ভোরে এবং সন্ধ্যায় কামড়ায়।
ডেঙ্গুজ্বরের সাধারণ লক্ষণ:
> জ্বর (শরীরে তাপমাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পায়)
> মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, পেটে ব্যথা, মাংসপেশী ও হাড়ে ব্যথা (বিশেষতঃ মেরুদন্ডে ব্যথা) বমি-বমি ভাব।
> শরীরে হামের মত দানা দেখা দেওয়া।
ডেঙ্গুজ্বরের ব্যবস্থাপনা:
> অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়।
> রোগীকে উপসর্গ অনুসারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে এবং বিশ্রামে রাখতে হবে। প্রচুর পানি ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে।
> দ্রুত জ্বর কমানো একান্ত জরুরী। এজন্য মাথা ধোয়া, ভিজা কাপড় দিয়ে গা মোছা এবং প্যারাসিটামল খেতে দেয়া যেতে পারে। এ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ কোনভাবেই খেতে দেয়া যাবে না।
> মারাত্বক (হেমোরেজিক) ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে/ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।
ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে করণীয়:
> এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ, ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
> বাড়ির ভিতর/বাহির/ছাদ এবং আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা অপ্রয়োজনীয় পাত্রসমূহ ডাষ্টবিনে ফেলে দিন। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড় এবং আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখুন।
> ব্যবহার যোগ্য পাত্রসমূহে (যেমনঃ বালতি, ড্রাম, ফুলের ও গাছের টব, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনারের নীচের পানি ভর্তি পাত্র ইত্যাদি) পানি কোনভাবেই যেন একনাগাড়ে ০৫ (পাঁচ) দিনের বেশী যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্যে রাখুন এবং প্রয়োজনে অপসারণ করুন।
> অব্যবহৃত গাড়ির টায়ার, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা, পরিত্যক্ত টিনের কৌটা, প্লাষ্টিকের বোতল/ক্যান, গাছের কোটর, পরিত্যক্ত হাড়ি, ডাবের খোসা ইত্যাদিতে ০৫ (পাঁচ) দিনের বেশি যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্যে রাখুন এবং প্রয়োজনে অপসারণ করুন।