সাংবাদিক শরিফ হাসান। ৪ আগস্ট, যার কারণে নিরাপত্তা পেয়েছিলেন প্রায় ৩০ জন নারী শিক্ষার্থী। এসকল শিক্ষার্থীদেরকে তিনি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিরাপত্তা দিয়েছেন। প্রায় ৭ জন আহত শিক্ষার্থীকে যিনি নিজের টাকায় পাঠিয়েছিলেন হাসপাতালে। অসংখ্য শিক্ষার্থীদের আঘাত থেকে রক্ষা করতে দেয়াল হয়ে দাড়িয়েছিলেন। অনেক শিক্ষার্থীকে নিরাপদে বাড়ী পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন। এই আন্দোলনে সরাসরি সক্রিয় ছিলো তার আপন ছোট বোন জয়পাড়া কলেজ শিক্ষার্থী ইভা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল সংবাদ সংগ্রহ এবং প্রচার যিনি করেছেন নি:সংকোচে এবং নিষ্ঠার সাথে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়েছেন আহত। ছাত্রলীগের আরেক দুর্বৃত্ত শরিফ হাসানকে আক্রমণ করতে লাঠি হাতে ধাওয়া করেছিলেন। ইট ছুড়ে মেরেছিলেন কিন্তু ইটটি গিয়ে আঘাত হানে দোহার প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল ইসলামকে।

নিউজ৩৯ গর্বিত আপনার মতো একজন সৎ, সাহসী কিন্তু বিনয়ী একজন মানুষ সাংবাদিক হিসেবে আমাদের সহকর্মী। স্যালুট আপনাকে। গর্বিত দৈনিক আজকের পত্রিকাও।

শরিফ হাসান, দোহারের সাংবাদিকতা জগতে একটি অনন্য নাম। যার বিরুদ্ধে নেই ১টাকা চাদাবাজির অভিযোগ নেই, নেই মিথ্যা, চল-চাতুরী, ভয় দেখানোর অভিযোগ। নেই ফাও খাওয়া বা তৈলমর্দন করার অভিযোগ। স্রোতের বিপরীতে সত্যের জন্য লড়াই করা এক সাহসী সাংবিকতার নাম শরিফ হাসান। দোহারের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হয়েও সাংবাদিকতাকে তিনি অশুভ শক্তির হাতিয়ার করেননি।

অন্য খবর  দোহারে নারী পাচারকারী দলের ৩ সদস্য আটক

সাংবাদিক শরিফ হাসান ও মো আল আমিন বালুখেকো, অননুমোদিত ড্রেজার ব্যবসায়ী, প্রশাসনিক দূর্নীতি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত এবং অনেক সাংবাদিকের কাছেও একটি আতংকের নাম। ২০২২ সালে গণ অধিকার পরিষদের সংবাদ সংগ্রহের সময় জয়পাড়া কলেজ ছাত্রলীগ বেদম পিটিয়েছিলো তাকে। নেতৃত্বে ছিলো উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান শান্ত। সেসবের কোন বিচার হয়নি। চায়না জালের ব্যবসার বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করায় তিনি ছিলেন জীবননাশের হুমকিতে। এই হুমকি দিয়েছিলো কিছু দুর্বৃত্ত ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং কিছু হিংস্র সাংবাদিক। ড্রেজার ও বালু ব্যবসার বিরুদ্ধে উচ্চকিত হলে, তার বিরুদ্ধে থানায় ও ফোনে বিরোধী মত বলে হয়রানির হুমকি দিয়েছিলো কিছু সাংবাদিক নামধারী চাদাবাজ ।

২০১৮তে সড়ক সংস্কার ও কোটা বিরোধী আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের কারণে তাকে প্রশাসনকে ব্যবহার করে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। করোনা মহামারীর সময় তিনি ছিলেন নির্ভীক। সকল সংবাদ পরিবেশনসহ ত্রান-সাহায্য পৌঁছে দিতে কাজ করেছেন উপজেলা ও থানা প্রশাসনের সাথে। দোহার নবাবগঞ্জ সোশ্যাল মুভমেন্ট (DNSM) এর একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে বাড়ী বাড়ী ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

পেশা ও রুটি রুযির জন্য কখনো আপস করেননি। সদা হাস্যজ্জ্বল, অসাধারণ কিন্তু সাধারণ এই মানুষটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। তিনি দোহারের স্বনামধন্য হাজী বাড়ীর সন্তান। এছাড়াও কর্মরত রয়েছেন news39.net এবং দৈনিক আজকের পত্রিকায়।

আপনার মতামত দিন