নবাবগঞ্জে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইনের সংবাদ সম্মেলন

439
সংবাদ

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে দোহার-নবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের নিয়ে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কমবয়সী সকল শিশুকে হাম-রুবেলা (এমআর) টিকা ক্যাম্পেইনের সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন। ২২ জানুয়ারী বুধবার দুপুরে হাম-রুবেরা টিকাদান ক্যাম্পেইনের গণসচেতনতার লক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারী সারাদেশের মতো ঢাকা জেলার ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী ২২ লাখ ৩১ হাজার ৯৫৫ শিশুকে এ টিকাদানের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রথম সপ্তাহে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ২য় ও ৩য় সপ্তাহে টিকাদান কেন্দ্র গুলোতে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মালেক মৃধা হাম ও রুবেলা সম্পর্কে বলেন, হাম একটি ভাইরাস জনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের মধ্যে হাঁচি কাশির মাধ্যমে অতি দ্রুত ছড়ায়। শিশু ছাড়াও যে কোন বয়সে হাম হতে পারে। তবে শিশুদের মাঝেই এর প্রকোপ, জটিলতা এবং মৃত্যু বেশি দেখা যায়। তাই সঠিক সময়ে হামের টিকা দিয়ে এ রোগ বাঁচানো  সম্ভব।

অন্য খবর  শীতের সকালে গোসল করে প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর

অপর দিকে রুবেলা একটি ভাইরাস জনিত অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। এই রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাসের সাহায্যে শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে এবং রুবেলা রোগের লক্ষণ দেখা যায়। গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের প্রথম ৩ মাসের সময় রুবেলা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে শতকরা ৯০% ভাগ ক্ষেত্রে মা থেকে গর্ভের শিশু আক্রান্ত হতে পারে।

এই রোগের প্রকোপ থেকে সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) মাধ্যমে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে এমআর টিকা সংযুক্ত করেছেন। তাই সরকার বাংলাদেশে পোলিওমুক্ত অবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে ২১তম জাতীয় টিকা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পূর্বের ন্যায় ০-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো এই জাতীয় টিকা দিবসের উদ্দেশ্য। ২০১৬ সালের মধ্যে  হামের টিকার হার জাতীয় পর্যায়ে ৯৫ ভাগ উন্নীত করে হাম দূরীকরণ অবস্থায় পোঁছানো ও রুবেলা টিকার হার জাতীয় পর্যায়ে ৯৫ ভাগ উন্নীত করে রুবেলা রোগের হার ২০১০ সালের তুলনায় ৯০ ভাগ কমানো এবং ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে হাম ও রুবেলা টিকা প্রাপ্তির ২য় সুযোগ নিশ্চিত করা।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে মান্নান-আশফাক গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সিভিল সাজন অফিস কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা ডা.গঙ্গাগোবিন্দ পাল, দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডা. শহীদুল ইসলামসহ দোহার ও নবাবগঞ্জ প্রেস কাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন