এ বছর হজের সময় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পবিত্র এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের সময় মৃত্যু অনেক কমে যাবে সামনের বছরগুলোতে। চলতি সপ্তাহে কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পরের বছর ২০২৫ সালের হজটি হতে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তীব্র গরমের মধ্যে অনুষ্ঠিত শেষ হজ।
আগামী বছর ২০২৫ সালের হজটি হতে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তীব্র গরমের মধ্যে অনুষ্ঠিত শেষ হজ। আর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এর পরের বছর ২০২৬ সালে বসন্ত ঋতুতে হতে যাচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। টানা আট বছর হজ পালিত হতে যাচ্ছে বসন্ত মৌসুমে। এরপর শীত মৌসুমে চলে যাবে। টানা ১৭ বছর আর গরমে হজ পালিত হবেনা।
মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা বিশ্ব থেকে সৌদি আরবে আসা মুসল্লিরা আগামী বছর ২০২৫ সালে গ্রীষ্মকালীন শেষ হজ পালন করতে যাচ্ছেন। এর পরের বছর ২০২৬ সালে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বসন্ত ঋতুতে হতে যাচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
কেন এমনটি ঘটবে?
ইসলামে চন্দ্রমাসের হিসেবে, হজ আরামদায়ক বসন্ত ও শীত ঋতুতে চলে যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল মেটিওরোলজিক্যাল সেন্টারের সরকারি মুখপাত্র হুসেন আল কাহতানিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ঋতুকালীন সময়ের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ফলে ইসলামিক চন্দ্রমাসের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হজের তারিখ প্রতি বছর প্রায় ১০ দিন করে পিছিয়ে যায়। হজ যাত্রার সময় পরিবর্তিত হলে, এটি হজযাত্রীদের প্রচণ্ড গরম থেকে বড় স্বস্তি দেবে।