দোহার(ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছেন প্রফেসর মো: আব্দুল মজিদ। গত ১৮ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক আদেশে তিনি সংযুক্ত দায়িত্বে পদ্মা সরকারি কলেজে নিয়োগ পান। ২৩ অক্টোবর পদ্মা সরকারি কলেজে ১ম দিনের মত অফিস করেন। এসময় উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল জলিল শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষকে উষ্ম অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন, আজ আমরা একজন বিসিএস ক্যাডার প্রিন্সিপাল ও পাশাপাশি একজন অভিজ্ঞ অভিভাবক পেয়েছি, ইনশাআল্লাহ স্যারের হাত ধরে কলেজের একাডেমিক প্রশাসনিক উন্নয়ন হবে। সহকারি অধ্যাপক লুৎফর রহমান হাওলাদার বলেন, অধ্যক্ষ স্যারকে পেয়ে আমরা ধন্য, স্যারের সব ধরনের প্রচেষ্টার সাথে আমরা শিক্ষকরা সকলেই এক হয়ে কলেজের উন্নয়নে কাজ করে যাবো। এসময় তিনি পদ্মা কলেজ প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এমারত হোসেন নতুন অধ্যক্ষকে স্বাগত জানিয়ে কলেজের অবকাঠামোগত এবং একাডেমিক উন্নয়নের প্রত্যাশা করেন।
প্রফেসর আব্দুল মজিদ তার নিজ এলাকা দিনাজপুর বোর্ড থেকে মাধ্যমিক এবং রংপুরের কারমাইকেল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। প্রফেসর আব্দুল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রফেসর আব্দুল মজিদ ১৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নীলফামারী সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্ম জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে বেশ কিছুদিন সহকারী পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, দিনাজপুর বোর্ডের সচিবের দায়িত্ব এবং পাশাপাশি তিনি বিখ্যাত সান্তাহার সরকারি কলেজ, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজে শিক্ষকতা করেন। সর্বশেষ তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে উপাধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছেন।
নবাগত অধ্যক্ষের বক্তব্যে তিনি পূজার ছুটিতেও কলেজে উপস্থিত হয়ে তাকে সুন্দর ভাবে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় তিনি কলেজের আর্থিক, অবকাঠামোগত এবং শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে খোজ খবর নেন।
জানা যায়, তিনি ব্যক্তিগত জীবনে দুই কন্যা সন্তানের বাবা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন মানব সেবক ও সাদা মনের সফল মানুষ । তিনি রুটিন করে প্রতি বৃহস্পতিবার বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে নিজ ফান্ড থেকে গরিব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা খরচ দান করে থাকেন। তিনি একজন সফল স্কাউট ব্যক্তিত্বও বটে।