নিউজ৩৯♦ নবাবগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের ভারাটিয়া সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ ৩জন আহত হয়েছে। ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আরঘোষাইল গ্রামে প্রতিপক্ষের ভারাটিয়া সন্ত্রাসদের আক্রমনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন ঐ গ্রামের মৃত: ছবদের খা’র ছেলে ওয়াহিদ খা (৬৫), তার ছেলে তপন খা (২৫) ও নাতনি সোনিয়া আক্তার (১৪)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আর ঘোষাইল গ্রামের ওয়াহিদ খা’র সাথে প্রতিবেশি হযরত বেপারীর দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিরোধকৃত স্থানে মাটি খোরা নিয়ে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যার দিকে হযরত বেপারীর নাতী মিজানুর ৮/১০ জন ভারাটিয়া সন্ত্রাসীসহ দেশিয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ ওয়াহিদ খা’র পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে ওয়াহেদ খা, তার ছেলে তপন খা, ও নাতনি সোনিয়া আক্তার আহত হয়। আহতদের নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী হযরত বেপারী (৬৫) নামে ১জনকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়। এসময় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওয়াহেদ খা’র দুই মেয়ে নিলুফা বেগম ও দেলুয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, বাবার বাড়িতে মহরমের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। তাদের পড়নে ৫ ভরির বেশি স্বর্ণের গহনা ও আলমারি ভেঙে নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা লুটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
এবিষয়ে হযরত বেপারী বলেন, ঘটনার সময়ে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। স্থানীয়রা আমাকে পুলিশে দিয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাকিবুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এবিষয়ে ৬ জনের নাম ও অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। অভিযোগকারীরা হযরত বেপারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।