বাংলাদেশ একটি নদীবহুল দেশ। স্যাটেলাইট থেকে দেখলে মনে হয় শুধু নদী আর নদী তার মাঝে কিছু সবুজ ভূমি। এই নদীগুলো বঙ্গোপসাগরে পলি বয়ে নিয়ে অসংখ্য দ্বীপ বা চর তৈরি করেছে। দ্বীপ ও চর আসলে একই জিনিস। তবে আমরা সাধারণত নদীর মাঝে জেগে উঠা দ্বীপকে চর বলি। তবে উপকূলের বাসিন্দারা সাগরের দ্বীপকে চর বলে। চট্টগ্রাম-কক্স’সবাজারের বাসিন্দারা দ্বীপকে বলে “দিয়া”। এই দ্বীপগুলোতে রয়েছে সবুজের সমারোহ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নানান প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের বাসস্থান, যা তাদের বিশেষভাবে আলাদা করে তোলে। মৎস্য চাষ, পর্যটন, এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে এই দ্বীপগুলো কাজ করে। আর ইদানিংতো অভিযানপ্রিয় পর্যটকের আকর্ষণ।
এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশের সবচে’ বড় দ্বীপগুলোর একটি তালিকা তৈরি করবো। এই তালিকাটি আপনাকে বাংলাদেশের দ্বীপ সম্পর্কে একটি সার্বিক ধারণা দেবে।
তালিকাটি তৈরির আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
- দ্বীপের সংখ্যা: নদী ও সমুদ্রের ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে দ্বীপের সংখ্যা নির্দিষ্টভাবে বলতে কঠিন।
- দ্বীপের আকার: দ্বীপের আকারও ক্রমাগত পরিবর্তনশীল।
- তথ্যের সীমাবদ্ধতা: সব দ্বীপের বিস্তারিত তথ্য সর্বদা পাওয়া যায় না।
তবুও, আমরা চেষ্টা করবো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপগুলোর একটি তালিকা তৈরি করতে।
বাংলাদেশের সবচে’ বড় ১০ দ্বীপ:
১. ভোলা: ১৪৪১ বর্গ কি.মি.
২. সন্দ্বীপ: ৪৮৮.৫২ বর্গকিমি
৩. হাতিয়া: ৩৭১ বর্গ কিমি
৪. মহেশখালি: ৩৬২.১৮ বর্গ কিলোমিটার
৫. জাহাইজ্জার চর: ৩৬০ বর্গ কিমি
এটি বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি দ্বীপ। তবে এর অবস্থান মূল ভূখণ্ডের কাছে। ১৯৯২-১৯৯৭ সালের দিকে এই চরে একটি জাহাজ আটকে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। সেই সময় থেকে এ চরটি জাহাইজ্জার চর নামে পরিচিত লাভ করে।
৬. কুতুবদিয়া: প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার
৭. নিঝুম দ্বীপ: প্রায় ৯১ বর্গ কিমি
৮. দুবলার চর: ৬৬.৫ বর্গ কিলোমিটার
৯. চর কুকরি মুকরি: ২৫ বর্গ কিমি
১০. ঠেঙ্গারচর/ ভাসানচর: ৬৫ বর্গ কিমি
১১. সোনাদিয়া: প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার
১২. সেইন্ট মার্টিন’স: প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার
সেইন্ট মার্টিন‘স বা নারিকেল জিঞ্জিরা দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। ছেড়া দ্বীপ বা ছেড়াদিয়া আলাদা কোনো দ্বীপ নয়। এটি সেইন্ট মার্টিন’সেরই অংশ। জোয়ারে একটা অংশ ডুবে যায় তখন আলাদা হয়ে যায় সাময়িকভাবে।
সময়পত্র/বাংলাদেশের দ্বীপ