বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় গ্লোবাল হাব অন লোকাল-লিড অ্যাডাপ্টেশন (এলএলএ) উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ সরকার এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। শেখ হাসিনা ভারচুয়াল প্লাটফরমে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন বোর্ডের সভাপতি বান কি-মুন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. প্যাট্রিক ভারকুইজেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেবেন। এছাড়া, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজনে বিশ্ব নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য অনুষ্ঠানটি একটি মাইলফলক হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রান্তিক মানুষ সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভব করে। কারণ তাদের দুর্বলতা উচ্চতর এবং অভিযোজন ক্ষমতা নিম্ন।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন-এর দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার বিষয়ে বাংলাদেশের এবং অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য জিসিএর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিসিএ ঢাকা অফিসে স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজন-এর ওপর গ্লোবাল হাব চালু করছে। যা স্থানীয় সম্প্রদায়কে অভিযোজনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সহায়তা করতে একটি গ্লোবাল সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে কাজ করবে।বাংলাদেশ সরকার জিসিএ আঞ্চলিক অফিস এবং এলএলএ-তে গ্লোবাল হাব হোস্ট করে। এই প্রচেষ্টার একটি মূল কৌশলগত অংশীদার বাংলাদেশ।
এলএলএ-তে গ্লোবাল হাবের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হল, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা এবং সমাজের অংশগুলোর জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাস করতে দ্রুততার সঙ্গে প্রচার করা। এই হাব ২০২৫ সালের মধ্যে কমপক্ষে ২৫টি দেশে, এলএলএ বৃদ্ধির দিকে অগ্রগতি তুলে ধরে, এমন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।