আল-আমিন ও শরিফ হাসান, news39.net: ঢাকার চারপাশের উপজেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের হটস্পটে পরিণত হচ্ছে। আর করোনার হটস্পট হয়ে উঠছে দোহার-নবাবগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, মানিকগঞ্জ প্রতিদিনই এসব এলাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এছাড়া ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় গত ১০দিনে ২১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর দোহারে আক্রান্ত হয়েছে ১৮৮ জন।
ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এক সপ্তাহে ৪০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় এখানে ১৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২ জন। এ পর্যন্ত নবাবগঞ্জে মোট শনাক্ত হয়েছে ১৩২৩ জন। দোহারে ইতঃমধ্যে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছে। দোহারে ১০ দিনের করোনা সংক্রমণ হার ৪৮% এবং নবাবগঞ্জে প্রায় ৫৩% ।
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যারা ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের শ্বাসকষ্টের জটিলতা দেখা যাচ্ছে। এ কারণে প্রতিদিনই এই দুই উপজেলা থেকে রোগীদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ঢাকায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দোহার নবাবগঞ্জে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ থাকলেও শ্বাসকষ্টের জটিলতা নিরাময়ে নেই হাই ফ্লো ক্যানোলা । এতে অক্সিজেন লেভেল ২/৩ মাত্রায় সরবরাহ করা গেলেও, তীব্র শ্বাসকষ্টের জন্য হাই ফ্লো ক্যানোলা না থাকায় রোগীদের ঢকায় পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের কয়েকটি অঞ্চলে কোভিডের ভয়াবহ অবস্থার কারণে সেখানে অতিমাত্রায় অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের প্রয়োজন হচ্ছে। তবে যেসব স্থানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টে এখনো লিকুইড অক্সিজেন দেয়া হয়নি, তার মধ্যে দোহার-নবাবগঞ্জকে অবশ্যই ‘প্রায়োরিটি’ দেওয়া উচিত। ধীরে ধীরে রেড জোনে পরিণত হচ্ছে দোহার-নবাবগঞ্জ। প্রশাসন, দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কঠোর টহল ও নজরদারি সত্ত্বেও জনগণের অসচেতনতা এবং শ্রমজীবি মানুষের রুটি রুজির কারণে পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ।