দোহারের প্রসিদ্ধ হোটেল-রেস্টুরেণ্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানঃ ৩০ হাজার জরিমানা

331

গাজী নাদিম মাহমুদ ও শরিফ হাসান,নিউজ৩৯: দোহার উপজেলার ভ্রাম্যমান আদালত বিভিন্ন হোটেল – রেস্টুরেণ্টে অভিযান চলমান রেখেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পুনরায় অভিযান পরিচালনা করেন জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। জয়পাড়া বাজারের প্রসিদ্ধ হোটেল রেস্টুরেণ্টে অভিযান ও জরিমানা করার পর মেঘুলা, নারিশা ডাকবাংলো ও ফুলতলা বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আজ প্রায় ২০টি হোটেল – রেস্টুরেণ্টে জ্যোতি বিকাশ অভিযান চালিয়ে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করেন।

অভিযানের সময় হোটেল মালিকদের নিকট হালনাগাদ লাইসেন্স দেখতে চাওয়া হলে, হোটেল মালিকেরা তাদের প্রয়োজনীয় লাইসেন্সর নিবন্ধন ও নবায়ন দেখাতে পারেননি। মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার, পচা বাসি খাবার পাওয়ায়, হোটেল মালিকদেরকে মোট ২৯৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও যে সব দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার পাওয়া যায় তা সাথে সাথে বিনষ্ট করে দেয়

এসময়,মেঘুলা বাজারের অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি এবং ডিপফ্রিজে পঁচা মাংস সংরক্ষণ করার দায়ে মা রেস্টুরেন্টকে ফিরোজ মাহমুদ কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও বেকারী টি কে সিলগালা করে বন্ধ করে দেইয়া হয়। এছাড়াবিসমিল্লাহ বেকারীকে ২ হাজার, নারিশা ডাক বাংলার ড্রিম রেষ্টুরেন্ট এন্ড পাটি সেন্টার এর স্বতাধিকারী মোক্তার হোসেনকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমল পানীয় রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফুলতলায় সুরভী হোটেলকে ১হাজার টাকা, আমিন ষ্টোরের মালিক রুহুল আমিনকে ৫ শত টাকা ও জননী এন্টারপ্রাইজ এর স্বতাধিকারী ইসমাইল হোসেন কে ৫০০ এবং সাইম ষ্টোরকে ৫শত টাকা জরিমানা করেন।
জয়পাড়ার থানার মোড়ে উৎসব ডিলারকে মেয়াদোত্তীর্ন মালামাল (মাউনটেণ্ট ডিউ) গোডাউনে রাখার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাংলাদেশ হোটেল এন্ড রেস্তরাঁ আইন ২০১৪ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিধানমতে মোট ৮টি মামলায় মোট ২৯,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।অর্থদন্ড আরোপ ও আদায় পূর্বক মামলা নিষ্পত্তি করা হয়

অন্য খবর  কুসুমহাটিতে আব্দুল ওয়াহাব দোহারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত

এসময় নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, যেসব হোটেল ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নেই, তারা আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যেই নিবন্ধন ও লাইসেন্স করে নিবেন। তিনি আরও বলেন, অভিযান চলছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন স্যানেটারি ইনস্পেক্টর মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং দোহার থানা পুলিশ ফোর্স।

আপনার মতামত দিন