চালকের অভাবে কাজে আসছে না নবাবগঞ্জ হাসপাতালের দুইটি এম্বুলেন্স

270
নবাবগঞ্জে নতুন করে করোনা শনাক্ত ৯

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় রোগী পরিবহনের জন্য রয়েছে দুটি এম্বুলেন্স । কিন্তু চালকের অভাবে নবাবগঞ্জ উপজেলা বাসীর কোন কাজেই আসছে না এম্বুলেন্স দুটি।   দুটি এম্বুলেন্সই  পড়ে আছে উপজেলাতে।  কারণ হিসেবে জানা যায়,  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য ।  ফলে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা দরিদ্র অসহায় রোগীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। সময় মতো  উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পৌঁছাতে পড়তে হচ্ছে নানান বিড়ম্বনাসহ অপ্রীতিকর অবস্থায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, দীর্ঘ সময় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে পড়ে ছিল। ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে তৎকালিন ঢাকা-১ দোহার নবাবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহম্মেদ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূইয়া উপস্থিতিতে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন  ১টি অ্যাম্বুলেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চাবি হস্তান্তর করা হলেও নবাবগঞ্জ বাসী অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে প্রায় বঞ্চিত।

অন্য খবর  দোহারে স্বর্ণের দোকান থেকে ২৫ ভরি স্বর্ণ চুরি

এরি মাঝে মাস খানিক আগে ঢাকা ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব সালমান এফ রহমান করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতেরর লক্ষ্যে আরো একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেন। কিন্তু চালকের অভাবে এখনো সেই অ্যাম্বুলেন্সটি রাস্তায় নামেনি।

কথা হয় করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির সাথে। তিনি জানান, গত ৭ই জুলাই আমি করানোর টেস্ট করি। ১০ জুলাই আমার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাই পরিবারের অন্য সদস্যদেরও টেস্ট করার জন্য সিদ্ধান্ত নেই। এ লক্ষ্যে উপজেলায় এম্বুলেন্স সার্ভিস পাওয়ার জন্য ফোন দেই কিন্তু তারা জানান অ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় আপনাদেরকে সেই সুযোগ দেয়া যাচ্ছে না।

নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা ৩ বছরের শিশু ইয়াসিনের পিতা আব্দুল আলিম বলেন, আমার ছেলেকে চিকিৎসক ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। জরুরি ভাবে ভাড়ায় চালিত অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঢাকায় যেতে অনেক  টাকা খরচ, যা আমার জন্য খুবই কষ্টকর। কিন্তু কি করবো হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই।

নবাবগঞ্জের শোল্লা খতিয়া এলাকার তানিয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে  উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছে চিকিৎসক। কিন্তু  সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। হাতে তেমন টাকাও নেই ।

আপনার মতামত দিন