নিজ বাসাতেই কোয়ারেন্টাইনে আছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর। কদিন আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন জ্বর-সর্দিতে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের উপসর্গের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় পরীক্ষাও করেছেন। ফলাফল এসেছে কোভিড-১৯ নেগেটিভ। তবে তিনি নিজে আক্রান্ত না হলেও পরিবারের এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই সতর্কতার জন্য কোয়ারেন্টাইন মানছেন তিনি।
ঢাকা টাইমসের সঙ্গে আলাপে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আলী নূর বলেন, ‘আমি অসুস্থ আছি। কিন্তু করোনা আক্রান্ত নই। এমনিতেই ঠাণ্ডা-জ্বর। বাসাতেই আছি। কোয়ারেন্টাইনে আছি। কারণ আমার পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত। ভয়ের কোনো কারণ নেই। তিনিও ভালো হয়ে উঠছেন।’
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই জানিয়ে সরকারের এই সচিব বলেন, ‘আমাদের সকলেরই সচেতন থাকা উচিত। আমার কারণে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদেন মো. আলী নূর। এর আগে তিনি সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৬ (অষ্টম) ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
১৯৮৯ সালে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি সহকারী কমিশনার, এনডিসি (নেজারত ডেপুটি কালেক্টর), আরডিসি (রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার), মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি-এর পরিচালক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মো. আলী নূর ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই মেয়ের বাবা।